কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় ডাকছে সরকার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এই প্রস্তাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “কিছুক্ষণের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মাননীয় আইন মন্ত্রী মহোদয় সংবাদ মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঘোষনা প্রদান করবেন।”
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনও সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রী একটি ঘোষণা নিয়ে আসছেন।
এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি মহোদয় আজ কিছুক্ষণের মধ্যে জাতীয় সংসদের ট্যানেলে প্রেস ব্রিফিং করবেন।”
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা নিয়ে জটিলতার বিষয়টির সমাধান আদালতে হবে জানিয়ে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে আন্দোলনকারী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এরপরও তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখে বৃহস্পতিবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর ডাক দেয়।
এই কর্মসূচি ঘিরে বৃহস্পতিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুরে সংঘর্ষ হয়। দেশের আরওি জেলা থেকেও সংঘর্ষের খবর আসছে।
কর্মসূচি চলার মধ্যে বৃহস্পতিবার ১টা ২২ মিনিটে আন্দোলনকারীদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসে।
তাতে এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বলা হয়, “উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরির দায় একমাত্র এবং শুধু সরকারের৷ ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করে যাচ্ছিল।
“শর্তহীনভাবে এক দফা দাবি আদায়, হল ক্যাম্পাস খোলা, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস থেকে সকল বাহিনী প্রত্যাহার, খুনি ও হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।”
“প্রতিদিন আন্দোলনের শক্তি দ্বিগুণ হবে। এবিষয়ে কোনও প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। শিগগিরই আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসছে,” বলা হয় টেলিগ্রামে।
এই কর্মসূচির বিষয়ে আন্দোলনকারীদের কোনও মুখপাত্রের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচি এই টেলিগ্রাম চ্যানেলেই দেওয়া হতো।
আন্দোলনকারীদের দাবি, কোটা সংস্কার করে তা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল করে রায় দেওয়ার পর এই আন্দোলন শুরু হয়। সরকার সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদন করলে আগামী ৭ অগাস্ট তার শুনানির দিন ঠিক করে সর্বোচ্চ আদালত।
কোটা জটিলতার অবসান আদালত হবে জানিয়ে সেই পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকার জানিয়ে এলেও শিক্ষার্থীদের দাবি, সরকারকেই কোটা সংস্কার করতে হবে।