আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতের সঙ্গে চলা কূটনৈতিক টানাপড়েন উত্তেজনার দিকে গড়ানোর প্রেক্ষাপটে বুধবার ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেই বৈঠকে অংশ নিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
কিন্তু সেখানে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় নিজের নাম না দেখে তিনি ফিরে যেতে উদ্যত হন। সেসময় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের মধ্যস্থতায় তাকে বৈঠকে যোগদানের অনুরোধ করা হলেও তিনি তা রাখেননি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের বৈঠকে এলডিপিকে না রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বৃহস্পতিবার ঢাকার মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন অলি আহমদ।
সেখানে তিনি বলেন, “বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক হয়েছিল। যে কারণেই হোক, আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। এর জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এনিয়ে আর কোনও কথা বলতে চাই না।”
অভ্যুত্থান মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, একজোট থাকতে হবে : ড. ইউনূস
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, “হাল শক্ত করে ধরুন। তা না হলে পরে আফসোস করার সময় পাবেন না।”
পুলিশ ঠিকঠাক দায়িত্ব পালন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও এসময় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান অলি আহমদ।
এলডিপির এই নেতা বলেন, “বর্তমান সরকারের অনেকে বেসামাল। দেশ সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আগে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
সরকারের বিভিন্ন পদে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পদায়ন করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এমনটা হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে না। যারা স্বৈরাচারকে নিরাপদে থাকার সুযোগ করে দেয়, তারা বাংলাদেশের বন্ধু নয়।”
