Beta
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

লেবাননে বিস্ফোরণ : প্রযুক্তি পণ্যের সাপ্লাই চেইনের নিরাপত্তা কি হুমকিতে

Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত হাজার হাজার তারবিহীন যোগাযোগ যন্ত্রে (পেজার) গত মঙ্গলবার বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং প্রায় ৩ হাজার জন আহত হয়।

তার একদিন পরই দেশটিতে আবারও কিছু যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটে। বুধবার একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটে হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত ওয়াকি-টকি, ল্যাপটপ, ওয়াকি-টকি রেডিও ও গাড়িতে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ৪৫০ জন আহত হয়।

হিজবুল্লাহ এই বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোকে গুপ্ত হামলা বলে আখ্যায়িত করে এর জন্য দায়ী করেছে ইসরায়েলকে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলই যন্ত্রগুলোর ভেতরে গোপনে বিস্ফোরক ভরে রেখে একযোগে এই বিস্ফোরণ ঘটায়।

অন্যদিকে, এভাবে পরপর দুদিন বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে বিস্ফোরণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি পণ্যের সাপ্লাই চেইনের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে দৈনন্দিন যোগাযোগের প্রযুক্তিগত সরঞ্জামগুলোকে হামলার অস্ত্রে পরিণত করার ঘটনা বাড়বে।

প্রযুক্তি শিল্প এবং সরবরাহ চেইন বিশ্লেষকরা আল জাজিরাকে বলেছেন, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সম্ভবত এই আক্রমণের পর তাদের সরবরাহ চেইনগুলো সুরক্ষিত করার গুরুত্ব নিয়ে ভাবা শুরু করবে। এসব ঘটনায় প্রযুক্তির প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থাও কমে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল টেক এবং কর্নেল ল’ স্কুলের ডিজিটাল ও তথ্য আইনের অধ্যাপক জেমস গ্রিমেলম্যান বলেন, “ভৌত ডিভাইস তৈরি করা বা বিক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি কোম্পানি তাদের সাপ্লাই চেইনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবে।

“এই ধরনের নাশকতামূলক পদক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য তারা তাদের সাপ্লাই চেইনে অতিরিক্ত সুরক্ষা এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া যোগ করার কথা বিবেচনা করতে পারে, যাতে তারা আরও ভালভাবে শনাক্ত করতে পারে।”

এর আগে ১৯৯৬ সালে মোবাইল ফোনের ভেতর বিস্ফোরক ঢুকিয়ে হামাসের বোমা বিশেষজ্ঞ ইয়াহিয়া আয়াশকে হত্যাসহ এমন আরও অনেক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এবার যেভাবে একযোগে হাজার হাজার যন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তা নজিরবিহীন।

জনগণের আস্থা হারানো

যুক্তরাষ্ট্রের সান্তা ক্লারা ইউনিভার্সিটির মার্ককুলা সেন্টার ফর অ্যাপ্লাইড এথিক্স-এর প্রযুক্তি নীতিশাস্ত্রের পরিচালক ব্রায়ান প্যাট্রিক গ্রিন এই হামলাকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থার ওপর একটি আঘাত হিসেবে দেখছেন।

গ্রিন বলেন, “সবার অলক্ষ্যে হাজার হাজার যন্ত্রকে অস্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। এই বিস্ফোরক ডিভাইসগুলো কতটা বিস্তৃত? কীভাবে বিস্ফোরকগুলো প্রযুক্তি যন্ত্রে বা প্রযুক্তি পণ্যের সাপ্লাই চেইনে প্রবেশ করেছিল? এই হামলা এমন সব ভয়ঙ্কর প্রশ্ন উত্থাপন করছে যা আগে কখনও বিবেচনা করা হয়নি।”

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল নীতিশাস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির অধ্যাপক মারিয়ারোসারিয়া তাদেও বলেন, এই হামলাগুলো একটি উদ্বেগজনক নজির স্থাপন করেছে। কারণ এবার শুধু কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নাশকতার জন্য নয় বরং ব্যাপকভাবে বিস্তৃত এবং বিশাল প্রভাববিস্তারকারী হামলার জন্য সাপ্লাই চেইনে গোপন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

পেজার ও ওয়াকি-টকিগুলোকে ঠিক কীভাবে বিস্ফোরক ডিভাইসে পরিণত করা হয়েছিল তা পরিষ্কার না হলেও লেবানন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলি গোয়েন্দারাই ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক উপাদান ভরেছে।

ইসরায়েল এই অভিযোগ স্বীকার করেনি, আবার অস্বীকারও করেনি। বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।

গোল্ড অ্যাপোলো নামে তাইওয়ানের যে কোম্পানি থেকে হিজবুল্লাহ বিস্ফোরিত পেজারগুলো কিনেছিল তারা সেগুলো তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, বিএসি নামের একটি ইউরোপীয় কোম্পানিকে দিয়ে তারা ওই পেজারগুলো বানিয়েছে।

গোল্ড অ্যাপোলোর সিইও হু চিং-কুয়াং যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও এনপিআরকে বলেছেন, বিএসি তার কোম্পানিকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করেছে। তার ফার্মের তাইওয়ানি ব্যাংক সেই অ্যাকাউন্ট অন্তত একবার ব্লক করেছিল।

বিএসি হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টভিত্তিক একটি কোম্পানি। তবে কোম্পানিটি মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করলেও সাড়া পায়নি আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস তিনজন অজ্ঞাতনামা গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে বলেছে, বিএসি ছিল বিস্ফোরক পেজার তৈরির জন্য একটি ফ্রন্ট, যা ইসরায়েলই স্থাপন করেছিল।

জাপানভিত্তিক রেডিও সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক আইকম বলেছে, তারা প্রায় ১০ বছর আগে লেবাননে হামলায় ব্যবহৃত ওয়াকিটকি রেডিওগুলোর মডেল তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে।

আইকম একটি বিবৃতিতে বলেছে, “প্রায় ১০ বছর আগেই এর উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছিল এবং তারপর থেকে এটি আমাদের কোম্পানি থেকে আর কোথাও পাঠানো হয়নি।

“প্রধান ইউনিটটি পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারির উৎপাদনও বন্ধ করা হয়েছে এবং নকল পণ্যগুলোকে আলাদা করার জন্য এতে আমাদের হলোগ্রাম সিলও ছিল না। তাই পণ্যটি আমাদের কোম্পানি থেকে পাঠানো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।”

ক্যালিফোর্নিয়া পলিটেকনিক স্টেট ইউনিভার্সিটির (ক্যাল পলি) এথিক্স প্লাস ইমার্জিং সায়েন্সেস গ্রুপের পরিচালক প্যাট্রিক লিন বলেছেন, সাপ্লাই চেইনের ঠিক কোন পর্যায়ে ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে সে সম্পর্কেও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে।

“উৎপাদনের সময় নাকি ট্রানজিট বা বিতরণের আগে সিস্টেম অপারেটরের স্তরে ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক ঢোকানো হয়?”

লিন বলেন, “উৎপাদনের স্তরেই যদি এটা ঘটে থাকে, তাহলে অন্যান্য প্রযুক্তি নির্মাতাদের আরও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিৎ। কারণ অন্যান্য উপায়গুলো তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পেজারগুলোর প্রস্তুতকারক কোম্পানি যদি স্বেচ্ছায় সহযোগিতা না করে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তাদের অপারেশনাল নিরাপত্তা গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে।”

প্রযুক্তি সংস্থাগুলো কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে

যেভাবেই ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক ভরা হোক না কেন, এই হামলার ফলে বিভিন্ন দেশ তার সীমানার মধ্যে স্মার্টফোন, ড্রোন, সোশাল মিডিয়া অ্যাপসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সাপ্লাই চেইনের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের সাপ্লাই চেইন বিশেষজ্ঞ মিলাদ হাঘানি বলেছেন, এর ফলে কোম্পানিগুলোও তাদের সাপ্লাই চেইন নিরাপত্তা প্রোটোকল কঠোর করার পদক্ষেপ নেবে।

হাগানি বলেন, “সাধারণভাবে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য এমন পরিস্থিতি নজিরবিহীন। অনেকেই সম্ভবত তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ও নিরাপত্তার বিষয়টি আগে কখনও এতো গুরুত্ব সহকারে ভাবেনি।”

তিনি বলেন, “অনেক কোম্পানি এই ধরনের হুমকি মোকাবেলায় পুরোপুরি প্রস্তুত নাও থাকতে পারে।” তারাও লেবাননে বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ নেবে।”

বিশ্লেষকরা বলেছেন, ছোট কোম্পানিগুলোর তুলনায় অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমি ও এলজির মতো স্মার্টফোন জায়ান্টগুলোকে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এসব কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী এবং তাদের ডিভাইসগুলোতে বিস্ফোরক রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গাও থাকে না। এ ছাড়া হিজহবুল্লাহর মতো নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য তাদের তৈরি ডিভাইস ব্যবহারের সম্ভাবনাও অনেক কম।

লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের ভিজিটিং সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লুকাজ ওলেজনিক বলেছেন, “তাদের উৎপাদন এবং ডেলিভারি চেইনগুলো ছোট আকারের কোম্পানিগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তাই অন্তত এখনই ভাবার কোনও কারণ নেই যে, তাদের ওপর এই হামলার প্রভাব পড়বে।

“তবে, বড় কোম্পানিগুলো তাদের কাজ করার পদ্ধতিতে ভিন্নতা আনার দিকে ঝুঁকতে পারে।”

তবে অনেকে বলছেন, বড় কোম্পানিগুলোও এই হামলার কারণে উদ্বেগে পড়বে। কারণ তারাও অনেক সময় ছোট ছোট সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভর করে।

অধ্যাপক জেমস গ্রিমেলম্যান বলেছেন, “ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে এনএসও গ্রুপের স্পাইওয়্যারকে একটি বেসরকারি গোয়েন্দা পরিষেবা হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এবং প্রকৃতপক্ষে এই সপ্তাহে অ্যাপল তার নিরাপত্তা গোপনীয়তা ফাঁস হওয়ার ভয়ে এনএসওর বিরুদ্ধে মামলাটি বাদ দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “এটি গভীরভাবে বিরক্তিকর এবং নাগরিকদের তাদের সরকারকে আক্ষরিক অর্থে ভোক্তা প্রযুক্তিকে এভাবে অস্ত্রে পরণিত করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ নয়।”

এ বিষয়ে অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়ে, শাওমি ও এলজি কর্তৃপক্ষের মন্তব্য জানতে আল জাজিরা যোগাযোগ করলেও সাড়া পায়নি।

অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির (এএসইউ) স্কুল ফর দ্য ফিউচার অব ইনোভেশন ইন সোসাইটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু মেনার্ড বলেছেন, লেবাননের হামলার পর ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলোকেও আর মানুষ নিরাপদ ভাবতে পারবে না। ব্যক্তিগত ডিভাইস দিয়েও যে তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে প্রযুক্তি ভোক্তাদের মনে সেই আতঙ্ক তৈরি হবে।

মেনার্ড বলেন, “মানুষের দৈনন্দিন ভিত্তিতে ব্যবহার করা ডিভাইসগুলো নিরাপদ কিনা তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান সন্দেহ এবং উদ্বেগ তৈরি হবে। তখন কোম্পানিগুলোকেও তাদের গ্রাহকদেরকে সেগুলো নিরাপদ আছে বোঝানোর জন্য গুরুতর প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে।”

ইসরায়েলের সমর্থক ও সমালোচকরা এই হামলাকে সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আঘাত বা বেসামরিক লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা বেপরোয়া কাজ হিসেবে দেখা উচিৎ কিনা তা নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল, এই হামলার ফলে অন্য কোনও গোষ্ঠীরও এই ধরনের কৌশল থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

হাঘানি বলেন, সবার পক্ষে এই ধরনের হামলা চালানো কঠিন হবে। তথাপি আরও সতর্ক হতে হবে, যাতে নীতি-নৈতিকতার ধার ধারে না- এমন কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এভাবে কোনও প্রযুক্তি সাপ্লাই চেইনে গোপনে হস্তক্ষেপ না করতে পারে।

এএসইউর অধ্যাপক মেনার্ড বলেছেন, রাষ্ট্রহীন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এই জাতীয় কৌশলকে “ভয় সৃষ্টির জন্য এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের একটি সম্ভাব্য উপায়” হিসেবে দেখতে পারে।

তিনি বলেন, “এই হামলার মধ্য দিয়ে আসলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ত্রাস ছড়ানোর একটি নতুন উপায় দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে মানুষ এখন তাদের পকেটে বা তাদের সন্তানের হাতে থাকা ডিভাইস থেকে হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে।”

মেনার্ড বলেন, “তবে এই ধরনের হামলা অনেক ব্যয়বহুল ও চ্যালেঞ্জিং। উদারহণস্বরূপ, দোকানের শেলফে থাকা একটি ফোনকে বোমায় পরিণত করা অনেক কঠিন। কিন্তু কথা হল, এভাবেও যে হামলা চালানো যায় সেই ধারণা এখন সবাই জেনে গেছে। ফলে এই ধরনের হামলার ঝুঁকি এখন আরও বেড়ে যাবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত