সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলন থেকে সৃষ্ট গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দেশে কয়েকদিন ছিল অরাজক পরিস্থিতি। সেসময় বিভিন্ন থানায় চালানো হয় লুটপাট, হামলা ও ভাঙচুর। লুটপাট করা পুলিশের এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
যাদের কাছে এসব অস্ত্র ও গুলি আছে তারা আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
সোমবার এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা/ইউনিট/ডিউটিস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।”
কোনও ব্যক্তির কাছে এ ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকলে তা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দিতে অনুরোধ জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তা না হলে যাদের কাছে এসব অস্ত্র পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় লুটপাট-হামলা-অগ্নিসংযোগ। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন যেমন লুটপাটের হাত থেকে রেহাই পায়নি, বাদ পড়েনি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোও। এসব স্থাপনা থেকে লুট করে নেওয়া হয় পুলিশের অস্ত্র-গুলিসহ অন্যান্য সামগ্রী।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত সম্প্রতি লুন্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে ১ হাজার ৮৯০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৯২ হাজার ০৯১ রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৮৮০টি টিয়ার গ্যাসের সেল ও ২৯৬টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।