Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যু ঠেকাতে অ্যান্টিভেনম সরবরাহে আইনি নোটিস

দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
[publishpress_authors_box]

রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশের সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত সরবরাহ, দক্ষ চিকিৎসক ও পরিবেশ উপযোগী টিকা উৎপাদনের পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এ নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।

নোটিসে সাত দিনের মধ্যে দেশের সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সংরক্ষণ, টিকা দেওয়া চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ ও দেশে সাপের বিষ প্রতিরোধক টিকা উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অন্যথায় জনস্বার্থে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করেন বাহাউদ্দিন আল ইমরান।

নোটিসে বলা হয়েছে, দেশের বেশ কিছু জেলায় সম্প্রতি রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়, এমন কথাও চাউর হয়েছে।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাসেলস ভাইপার দেখার সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলার প্রচার চালাচ্ছে অনেকে। ‘রাসেলস ভাইপার খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে; অল্প সময়ের মধ্যে এর আধিক্য গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে’- এমন প্রচারও চালানো হচ্ছে।

ফলে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপকভাবে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি) ২০২৩ সালে দেশজুড়ে সাপের ছোবল খাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে জরিপ চালায়। সেই জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য নোটিসে তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, দেশে প্রতি বছর ৪ লাখ ৩ হাজার ৩১৭ জন মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ৭ হাজার ৫১১ জন। মানুষ ছাড়া প্রাণীরাও সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রতি বছর প্রায় ১৯ হাজার গৃহপালিত পশু সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে আড়াই হাজার মারা যায়।

নোটিসে বলা হয়েছে, “সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে, কেবল সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বিশেষ করে হাসপাতালে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম না থাকায় দেশে প্রতি বছর অনেকে বিষধর সাপের কামড়ে মারা যান।

“বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে কোনও অ্যান্টিভেনম তৈরি হয় না। সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভেনম ভারত থেকে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সাপ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা হলে তা সবচেয়ে কার্যকর হয়। অন্য দেশের অ্যান্টিভেনম শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারে।

“কারণ একেক দেশের সাপের প্রকৃতি একেক রকম। ভারতে যেসব সাপ থেকে বিষ সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো পুরোপুরি বাংলাদেশের সাপের সঙ্গে মেলে না। অথচ বছরের পর বছর ধরে ভারতের তৈরি অ্যান্টিভেনম দিয়েই দেশে সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।”  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত