জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার অনুসারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে বিতর্কিত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে বিরত থাকার জন্য লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।
রবিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, মিরপুর জোনের ডিসি ও ওসিকে এই নোটিস পাঠান ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মো. সফিকুল ইসলাম সবুজ খান।
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হওয়া ঘটনায় হত্যা মামলা রয়েছে।
নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তা না হলে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিসে।
নোটিসে বলা হয়, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেলে জাতীয় পার্টি ও শেখ হাসিনার নামে অসংখ্য হত্যা মামলা হয়। তবে জাতীয় পার্টি কৌশলে বেঁচে যায়। স্বৈরাচারী সরকারের সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কারণেই শেখ হাসিনা একদলীয় নির্বাচন করার সাহস পেয়েছে। জাতীয় পার্টির ওপর ভর করে শেখ হাসিনা জনগণের দিনের ভোট রাতে দিয়েছে এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। তাই সব অপরাধের দায় তাদেরকেও নিতে হবে।”
‘জাতীয় পার্টি একটি জাতীয় বেইমান’ উল্লেখ করে নোটিসে আরও বলা হয়, আসামী হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পার্টির মন্ত্রী এমপিদের গ্রেপ্তার না করে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হচ্ছে। ১৪ দলের নেতারা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেও জিএম কাদেরসহ তার অনুসারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনায় জুলাইয়ের ছাত্র জনতা মর্মাহত।
জি এম কাদের মিরপুর মডেল থানার এজাহারনামীয় আসামি জানিয়ে নোটিসে বলা হয়, “অথচ তাকে এই মামলার আসামির চোখে দেখা হচ্ছে না। দ্রুত হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে শহীদদের আত্মার প্রতি সুবিচার করা হোক।”