অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন শেষে পদক তালিকার শীর্ষে জাপান। সবচেয়ে বেশি ৪ সোনা নিয়ে তাদের পদক ৭টি। অস্ট্রেলিয়ার সোনাও ৪টি, তবে পদক ৬টি। সমান ৩টি করে সোনা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের।
দ্বিতীয় দিনের সবচেয়ে আলোচিত ছিল ৪০০ মিটার মেডলিতে মাইকেল ফেলপেসর অলিম্পিক রেকর্ড ভাঙা। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ৪ মিনিট ০৩.৮৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ডটা গড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি ফেলপস।
কাল প্যারিস অলিম্পিকের অ্যাকুয়াটিকস সেন্টারে ফ্রান্সের লিওঁ মারশাঁ ৪ মিনিট ০২.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে জিতেছেন সোনা। তাকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে ছিল ১৫ হাজারের বেশি দর্শক। প্যারিসে সাঁতার দেখতে এত বেশি দর্শক হওয়াটাও রেকর্ড।
গত বছর ৪ মিনিট ০২.৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে অবশ্য বিশ্বরেকর্ড আগেই গড়েছিলেন মারশাঁ। এবার গড়লেন অলিম্পিক রেকর্ডও। ২০১২ অলিম্পিকের পর এটা সাঁতারে কোনও ফরাসির প্রথম সোনাও।
১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে হ্যাটট্রিক অলিম্পিক সোনার হাতছানি ছিল ব্রিটিশ তারকা অ্যাডাম পিটির। ইতালির নিকোলো মার্তিনেঙ্গি হতাশ করেছেন তাকে। ৫৯.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন তিনি। ৫৯.০৫ সেকেন্ড। সময় নিয়ে রুপা জিতেন পিটি।
দিনের শেষ সোনার লড়াইটা ছিল ফেন্সিংয়ে পুরুষ ইপেই ব্যক্তিগত ইভেন্টে। সেই ম্যাচে জাপানের কোকি কানো স্বাগতিক ফ্রান্সের ইয়ানিক বোরেলকে হারান ১৫–৯ ব্যবধানে।
২০১৫, ২০১৯, ২০২০, ২০২২, ২০২৩ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রস-কান্ট্রিতে সোনা জিতলেও অলিম্পিক পদক ছিল না পলিন ফেরাঁ-প্রেভোর। কাল নিজের চতুর্থ অলিম্পিকে প্রথমবার পদক জিতেন তিনি, সেটাও সোনা।
টোকিও অলিম্পিকে মেয়েদের জিমন্যাস্টিকসের দলগত ফাইনালের মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছিলেন সিমোনা বাইলস। ব্যক্তিগত কয়েকটি ইভেন্টেও নামেননি মানসিক অবসাদে। সেই বাইলস চোট নিয়েও দারুণভাবে ফিরে এসেছেন প্যারিসে।
কাল মেয়েদের দলগত অল–অ্যারাউন্ডের বাছাইয়ে দেখা মিলেছিল পুরোনো বাইলসের। যুক্তরাষ্ট্রকে ফাইনালে পৌঁছানোর পথে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৯.৫৬৬ স্কোর ছিল তার। বাইলসের পারফর্ম দেখতে গ্যালারিতে ছিলেন হলিউডের টম ক্রুজের মতো তারকা।
এদিকে ছেলেদের টেনিস এককের দ্বিতীয় রাউন্ডেই মুখোমুখি রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচ। যদিও গ্র্যান্ড স্লামে তাদের ফাইনাল বা সেমিফাইনালেই লড়াই করতে দেখা যায় প্রায় সময়। প্যারিসের স্বপ্নের লড়াইটা হচ্ছে অনেক আগে।