Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ঈদের দিন ‘হালকা’ বৃষ্টি হতে পারে

rain
[publishpress_authors_box]

চলতি বছরে আগেভাগে আসা বর্ষা মৌসুমে মে মাসে একবার নিম্নচাপের কবলে পড়েছিল দেশ। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে চলতি জুনেও লঘুচাপের কবলে পড়তে পারে দেশ। সেই সঙ্গে থাকবে বন্যা, বজ্রপাত ও তাপপ্রবাহের প্রকোপ।

জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঈদের দিন আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে, বৃষ্টি হলেও তা হবে হালকা।

পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলছে, মাসজুড়ে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সঙ্গে এক থেকে দুইটি লঘুচাপ হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি মাসে ছয় থেকে আটদিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। জুনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকতে পারে।

পাশাপাশি এ মাসে দেশে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬-৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮-৩৯ দশমিক ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।

দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, জুনে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আজও (মঙ্গলবার) বৃষ্টি হবে , তবে গত কাল এবং পরশুর তুলনায় কম হবে। ইতোমধ্যেই দেশের অনেক জায়গায় আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করেছে।”

আগামী দুই থেকে তিনদিন এমন থাকবে, আগামী ছয় তারিখ থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে, বৃষ্টি কমবে।

ঈদ সাত জুন। সেদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে প্রশ্নে বজলুর রশিদ বলেন, “আবহাওয়া এখনও ভালোই দেখছি। বৃষ্টি হলেও হালকা হবে, মনে হচ্ছে শুষ্কই থাকবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনও দেখছি না।”

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে বলা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।

আর ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি বৃষ্টিপাত বলা হয়।

মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি ধরন এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা বিস্তারলাভ করতে পারে।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বজলুর রশিদ বলেন, মে মাসের শেষদিকে বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে উঠে বাংলাদেশ হয়ে ভারতের আসাম, মেঘালয়ে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে কয়েক দিন ধরেই দেশে এবং ভারতের সীমান্তবর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোতে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত