সাজ সাজ রবই পড়েছিল জ্যামাইকায়। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দেশটিতে এর আগে কখনও খেলেননি লিওনেল মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স কাপের শেষ ষোলো সিরিজের দ্বিতীয় লেগে জ্যামাইকার ক্লাব ক্যাভালিয়ার এফসির মাঠে খেললেন আজ (শুক্রবার) সকালে।
মেসির জন্য ক্যাভালিয়েরের ৩ হাজার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মাঠ থেকে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয় ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ইনডিপেনডেন্টস পার্কে। সেখানে ৩৫ হাজার দর্শক উপভোগ করেছেন মেসির জাদু। তিন ম্যাচ পর মাঠে নেমে গোল পেয়েছেন মেসি, সেটা একেবারে শেষ সময়ে।
Messi doing Messi things 💫
— B/R Football (@brfootball) March 14, 2025
(via @TheChampions)pic.twitter.com/egv30G5dfp
ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটের সেই গোল দেখে বিপক্ষ দলের দর্শকদের কি উল্লাস? মনে হচ্ছিল গোল করেছেন নিজেদের অতি চেনা কেউ। ম্যাচটা ২-০ গোলে জিতে শেষ আটে পৌঁছে গেছে ইন্টার মায়ামি। ৩৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে অপর গোলটি করেন লুইস সুয়ারেস।
এ নিয়ে ৫১টি দেশে অফিসিয়াল কোনো ম্যাচ খেললেন লিওনেল মেসি। বিমানবন্দরে মেসিসহ পুরো মায়ামি দলকে স্বাগত জানান জ্যামাইকার সংস্কৃতি, লিঙ্গ, বিনোদন ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী। এই ৫১ দেশের মধ্যে মেসি গোল পেলেন ৩৬ দেশেই।
২০১১ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার হয়ে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনা প্রীতি ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জিতলেও জালের দেখা পাননি মেসি। তাতে যে ১৫ দেশের মাঠে মেসি গোল পাননি, সেই তালিকায় যোগ হয়ে যায় বাংলাদেশের নাম।
মেসির ক্যারিয়ার গোল এখন ৮৫৩টি। সবচেয়ে বেশি ৬২৪টি গোল করেছেন স্পেনে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫টি যুক্তরাষ্ট্রে। আর আর্জেন্টিনায় করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ গোল।