চোট কাটিয়ে ফিরে আর্জেন্টিনার হয়ে খেললেন মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ। তাতেই নিজের জাত আরও একবার চেনালেও লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে করলেন হ্যাটট্রিক। পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন দুটি।
মেসিময় ম্যাচটিতে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। একটি করে গোল লাউতারো মার্তিনেজ, হুলিয়ান আলভারেজ ও থিয়াগো আলমাদার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির গোল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১২টি। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ১৩৩ গোল নিয়ে আছেন চূড়ায়।
এই জয়ে লাতিন অঞ্চলে ১০ ম্যাচে ২২পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে আর্জেন্টিনা। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলম্বিয়া।
ম্যাচ শেষে নিজের হ্যাটট্রিক আর দুই অ্যাসিস্ট নিয়ে মেসি জানালেন, ‘‘সতীর্থদের সঙ্গে আমি উপভোগ করছি । বয়স যতই হোক, এখানে (আর্জেন্টিনা) এলে নিজেকে বাচ্চা ছেলেটি মনে হয়। যত দিন মনে হবে ভালো বোধ করছি … তত দিন উপভোগ করব।’’
মেসি যতদিন উপভোগ করতে চান ততদিনই তাকে মাঠে দেখতে চাওয়ার কথা জানিয়ে রাখলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘‘ সে যত দিন পারে খেলতে দিন। এটাই আমার চাওয়া। ফুটবল মাঠে মেসিকে দেখতে পারাটা আনন্দের।’’
কলম্বিয়ার কাছে হারের পর সবশেষ ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মাঠে ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। টানা দুই ম্যাচ পর মেসি দ্যুতিতে জয় পেল তারা। বিরতির আগে আর্জেন্টিনা এগিয়ে ছিল ৩-০ গোলে।
মেসি গোল তিনটি করেন ১৯, ৮৪ ও ৮৬ মিনিটে। ৪৩ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজ, বিরতির আগে ইনজুরি টাইমে হুলিয়ান আলভারেজ আর ৬৯ মিনিটে অপর গোলটি থিয়াগো আলমাদার।
১৯ মিনিটে মার্তিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোলের শুরুটা করেন মেসি। ৪৩ মিনিটে মেসির পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্তিনেজ। নিজে ভালো জায়গায় থেকে শট না নিয়ে পাস দিয়েছিলেন মেসি। গোলের পর পাশেই দাঁড়ানো মেসিকে আঙুল তুলে তিনি দেখিয়ে দিচ্ছিলেন বার বার, যেন গোলটা মার্তিনেজের নয় মেসিরই। মার্তিনেজ শুধু আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন!
বিরতির আগে মাঝমাঠ থেকে মেসির উঁচু করে বাড়ানো দারুণ থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন আলভারেজ।
আলভারেজের বদলি নামা থিয়াগো আলমাদা ব্যবধান ৪-০ করেন ৬৯ মিনিটে। এরপর শেষ দিকের জাদুতে দুই মিনিটে দুই গোল করে হ্যাটট্রিক মেসির। লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিকের গৌরব এখন তার। ব্রাজিলের তোস্তাও ও জিকোর পর এই মহাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে দুটি হ্যাটট্রিক করা তৃতীয় খেলোয়াড় তিনি।
এই অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সবশেষ হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি একই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন ১৫ বছর আগে হোয়াকিন বোতেরো। ২০০৯ সালের ১ এপ্রিল এটা করেছিলেন আবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বলিভিয়ারই সেই খেলোয়াড়!