ইন্টার মায়ামির হয়ে হংকংয়ে খেলেননি লিওনেল মেসি। এ নিয়ে রাগ-ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। এর মাঝেই চীন থেকে এসেছে নতুন ঘোষণা। আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা এশিয়ার দেশটিতে। আপাতত মেসির কোনও ম্যাচ আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত চীনের। যেকারণে বাতিল করা হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রীতি ম্যাচ দুটি।
আগামী মার্চে নাইজেরিয়া ও আইভরি কোস্টের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনা। সূচি অনুযায়ী, হাংজু স্পোর্টস সেন্টারে মুখোমুখি হতো আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। কিন্তু শুক্রবার হাংজু স্পোর্টস ব্যুরো জানায়, তারা এই প্রীতি ম্যাচটি আয়োজন করবে না। ওই ঘোষণার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শুধু নাইজেরিয়া নয়, আইভরি কোস্ট-আর্জেন্টিনা ম্যাচটিও হবে না।
এশিয়া অঞ্চল সফরে দিনকয়েক আগে ইন্টার মায়ামি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে হংকং একাদশের বিপক্ষে। হংকং স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে মেসির খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। কিন্তু তাদের হতাশ করে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ছিলেন বেঞ্চে। এই ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে হংকং জুড়ে।
হংকংয়ের এই ঘটনা চীনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারণ দেশটির ‘বিশেষ’ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকং। সেখানকার ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করার মেসির ওপর ক্ষোভ চীনের। বেইজিং ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কথায় সেটিই স্পষ্ট, “লিওনেল মেসি খেলবেন, এই ধরনের ম্যাচ আপাতত আয়োজনের পরিকল্পনা নেই বেইজিংয়ের।”
এর আগেই হাংজু স্পোর্টস ব্যুরো জানিয়েছিল, “কারণটা সবারই জানা। আমরা পর্যবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এই আয়োজন এগিয়ে নেওয়ার শর্ত পূরণ করা হয়নি।”
জল হয়তো এতদূর গড়াতো না। যদি মেসি জাপানে গিয়ে না খেলতেন। চোটের কারণে হংকংয়ে পুরোটা সময় বেঞ্চে বসে ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কিন্তু জাপানে ভিসেল কোবের বিপক্ষে বেঞ্চ থেকে উঠে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। তখন হংকয়ের জনগণের ক্ষোভ আরও বাড়ে। তাদের প্রশ্ন, মাত্র তিন দিনের মধ্যে কীভাবে সেরে উঠলেন মেসি?