বুড়িয়ে যাচ্ছেন তবে ফুরিয়ে যাচ্ছেন না। নিজেকে আরও সুশোভিত করে চলেছেন লিওনেল মেসি। আজ তার ৩৭তম জন্মদিন। ১৯৮৭ সালে ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে জন্ম তার।
রোজারিও শহর থেকে বার্সেলোনা মাতিয়ে নিজেকে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের কাতারে নিয়ে গেছেন তিনি। মেসির ৩৭তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাকিএই কিংবদন্তির স্মরনীয় ৩৭টি কীর্তি।
১
বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন দুইবার। ফুটবলের ইতিহাসে এমন কীর্তি নেই আর কারো।
২
ফুটবলের মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রেকর্ড ৮ বার।
৩
একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জিতেছেন টানা চারটি ব্যালন ডি’অর।
৪
কোপা আমেরিকায় খেলেছেন ৭ আসর মিলিয়ে ৩৫ ম্যাচ। এত বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড নেই আর কারও।
৫
স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির হয়ে ছয় বছর বয়সে একটি ফাইনালের সময় মেসি বাড়িতে আটকে পড়েছিলেন বাথরুমে। বাথরুমের জানালাগুলির একটি ভেঙে মাঠে নেমে ২০ মিনিটের মধ্যে করেছিলেন হ্যাটট্রিক, জিতে তার দলও।
৬
১৯৯৭ সালে শৈশবের আরেক ক্লাব নিউওয়েলসকে দক্ষিণ আমেরিকার যুব টুর্নামেন্টে কোপা আমিস্তাদ কান্তোলাও জেতান সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ১০ গোল করে! সেমিফাইনালে দলের ৭-০ গোলের জয়ে সবগুলি গোলই করেন মেসি।
৭
বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন বেশি ৭৭৮ ম্যাচ আর করেছেন সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল। এক ক্লাবের হয়ে এত গোল করার রেকর্ড নেই আর কারও।
৮
লা লিগায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে করেছেন সবচেয়ে বেশি ৪৭৪ গোল।
৯
২০১১-১২ মৌসুমের লা লিগায় করেন ৫০টি গোল যা এই টুর্নামেন্টে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ।
১০
লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ১৯২টি অ্যাসিস্টও মেসির। এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ২১টি অ্যাসিস্টের রেকর্ডও তার।
১১
লা লিগা সর্বোচ্চ ৩৬ হ্যাটট্রিক মেসির। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর সমান ৮টি হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।
১২
শিরোপা জেতার রেকর্ডে দানি আলভেজকে ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। মেসির শিরোপা ৪৪টি আর আলভেজের ৪৩টি।
১৩
অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেছেন সর্বোচ্চ ১৯টি ম্যাচ।
১৪
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩১৪ মিনিট মাঠে থাকার রেকর্ড মেসির। ২ হাজার ২১৭ মিনিট মাঠে ছিলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনি।
১৫
বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১টি গোলে অবদান মেসির। গোল করেছেন ১৩টি, অ্যাসিস্ট ৮টি।
১৬
মেসির ১৩ গোলই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ।
১৭
আর্জেন্টিনার হয়ে করেছেন সবচেয়ে বেশি ১০৮ গোল, যা যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি ১৩০ গোলের রেকর্ড ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর।
১৮
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার রেকর্ড মেসি ছাড়া নেই কারও।
১৯
কোপা আমেরিকার মত বিশ্বকাপেও খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ। বিশ্বকাপে মেসি মাঠে নেমেছেন ২৬ ম্যাচে।
২০
আর্জেন্টিনার জার্সিতে আলাদা ৪টি বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড় তিনি।
২১
মেসির বিশ্বকাপে প্রথম গোল ১৮ বছর ৩৫৭ দিনে, যা আর্জেন্টাইনদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সে এই টুর্নামেন্টে গোলের কীর্তি।
২২
আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ১৮৩ ম্যাচ।
২৩
পাঁচটি বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করা একমাত্র খেলোয়াড়ও মেসি।
২৪
উয়েফা আয়োজিত টুর্নামেন্টে এক ক্লাবের হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ১২৩ গোল (বার্সেলোনা)।
২৫
একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনের অস্কার খ্যাত লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন মেসি। ২০২০ সালের পর ২০২৩ সালেও জেতেন এই পুরস্কার।
২৬
লা লিগায় এক মৌসুমে গোল করেছিলেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচে। ২০১২-১৩ মৌসুমে ৩৮ ম্যাচের ২৭টিতেই জালে জড়িয়েছিলেন বল।
২৭
লা লিগায় গোল করেছেন সর্বোচ্চ ৩০০টি আলাদা ম্যাচে।
২৮
লা লিগায় পিচিচি ট্রফি সবচেয়ে বেশি জিতেছেন ৮ বার (মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার)।
২৯
ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন সর্বোচ্চ ৬বার।
৩০
ইউরোপের মর্যাদার ৫ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও মেসির (বার্সেলোনা-পিএসজি মিলিয়ে)।
৩১
টানা ১৮টি চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল করেছেন মেসি, এই কীর্তি নেই আর কারও।
৩২
চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২০ গোল তার (বার্সেলোনা)।
৩৩
চ্যাম্পিয়নস লিগে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৪০টি আলাদা ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছেন তিনি।
৩৪
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করেছিলেন মেসি ( ২০১১-১২, বিপক্ষ বেয়ার লেভারকুসেন)।
৩৫
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে লা লিগায় সবচেয়ে বেশি ৫২০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড তার।
৩৬
এল ক্লাসিকোতে সবচেয়ে বেশি ৪৫ ম্যাচে ২৬ গোলের কীর্তিও মেসির।
৩৭
২০১২ সালে মেসি করেছিলেন ৯১ গোল, এক পঞ্জিকাবর্ষে যা পারেননি আর কেউ। বার্সেলোনার হয়ে ৭৯ ও আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে করেছিলেন ১২ গোল।