লিওনেল মেসিরা কোপা জেতার পর থেকেই উৎসব চলছিল আর্জেন্টিনা জুড়ে। রাজধানী বুয়েন্স আইরেসের রাস্তায় রাতভর ছিলেন হাজারো মানুষ। সকালে তাদের রাস্তা ছাড়ার অনুরোধ করলেও কে শোনে কার কথা? বাধ্য হয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী জলকামান নিয়ে এসে রাস্তা খালি করে। নামানো হয় দাঙ্গা পুলিশও।
পুলিশের এমন আচরণে পরিস্থিতি কিছুটা অশান্ত হলেও গুরুতর কিছু হয়নি। ভক্তরা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে বরণ করতে চেয়েছিলেন বিজয়ীদের। কিন্তু বিমান কখন আসবে বলতে পারছিল না কেউ?
ঝড়ের কারণে সকাল ৭টায় আসার কথা থাকলেও আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দের চার্টার্ড বিমান এজেইজা বিমানবন্দরে অবতরণ করে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টায়। বিমানে লেখা ছিল, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে এসেছি।’’ সেখানে জানানো হয় উষ্ণ অভ্যর্থনা। ট্রফি ছিল দি মারিয়ার হাতে। পাশে ছিলেন কোচ স্কালোনি ও এএফএ প্রেসিডেন্ট তাপিয়া।
বাসে চড়িয়ে তাদের নেওয়া হয় আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে, যার নামকরণ লিওনেল মেসির নামে। চোটের জন্য মিয়ামি থেকে অবশ্য দেশে ফিরেননি মেসি। আসেননি এমিলিয়ানো মার্তিনেজসহ অলিম্পিকে অংশ নিতে যাওয়া অন্য ফুটবলাররাও।
নিজের চোট নিয়ে অবশ্য দুশ্চিন্তায় নেই মেসি। তিনি বলেছেন, ‘‘সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি ভালো আছি, ঈশ্বর চাইলে দ্রুতই মাঠে ফিরব। দি মারিয়া আরও একটা শিরোপা জিতে অবসর নিতে পারছে, এজন্য বেশি খুশি আমি।’’
এদিকে আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন দি মারিয়াকে। অন্তত দেশের মাটিতে আর এক ম্যাচ খেলে বিদায়ের অনুরোধ ছিল তার। এর জবাবে দি মারিয়া বলেছেন, ‘‘স্কালোনি আমাকে বলল, আরেকটা? মানুষের জন্য, কুর্নিশ নেওয়ার জন্য। তাকে বললাম, আমি মারাকানায় ব্রাজিলকে হারিয়েছি, সবকিছু জিতেছি। এখানে দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জিতেছি। আমি মনে করি, শেষ করার এটাই সেরা উপায়।’’