লিওনেল মেসি অনেকবারই বলেছেন ২০২২ বিশ্বকাপটাই তার শেষ। এবারের কোপা আমেরিকা হতে পারে তার শেষ টুর্নামেন্ট। তবে কোচ লিওনেল স্কালোনিসহ সতীর্থরা চান অন্তত ২০২৬ বিশ্বকাপটা খেলুন মেসি।
এ নিয়ে কোপা আমেরিকা শুরুর আগে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘ইনফোবেকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বললেন, ‘‘আমি কেমন অনুভব করছি আর শারীরিক ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলাটা। আমি বাস্তববাদী। এখনও অনেক সময় আছে, আবার নেইও-কারণ খুব দ্রুত সময় যাচ্ছে। বয়সটা অবশ্যই বাস্তবতা, যদিও এটা শুধু সংখ্যা।’’
বার্সায় যেভাবে ও সূচিতে খেলতেন সেটা ইন্টার মিয়ামিতে নেই বলে মেনেও নিলেন মেসি, ‘‘এখন যে ম্যাচগুলো খেলছি এর সঙ্গে আগে ইউরোপে খেলার পার্থক্য আছে। সেখানে প্রতি তিনদিনে খেলা থাকত, হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা ঘরোয়া লিগে, ফ্রান্স কিংবা স্পেনে। সবকিছু নির্ভর করছে আমার আর সতীর্থদের ওপর।’’
লুই সুয়ারেসের পর বার্সার আরেক বন্ধু নেইমারকে কি মিয়ামিতে আনতে চান? এ নিয়ে নেইমার জানালেন,‘‘আমরা প্রায়ই কথা বলি। এমনকি সুয়ারেসসহ আমাদের তিনজনের একটি চ্যাট গ্রুপ আছে, সেখানে নেইমার দারুণ স্প্যানিশ ভাষায় কথা বল। তবে ওকে এখানে আনার ব্যাপারে আমি জানি না। সত্যি হচ্ছে এটা বেশ কঠিনও।’’
কোপা আমেরিকা নিয়ে মেসি জানালেন, ‘‘আর্জেন্টিনা সবসময়ই ফেভারিট। আমরা যখন সবকিছু জিতিনি, তখনও আর্জেন্টিনা এমন ফেভারিট ছিল। বিশ্বকাপ হোক, কোপা আমেরিকা বা অন্য কিছু- ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনাও শিরোপার দাবিদার। উরুগুয়ে খুব ভালো দল। কলম্বিয়া, ইকুয়েডরও শক্তিশালী। আমার মনে হয় কোপা আমেরিকায় সমানে সমান লড়াই হবে এবার।’’
১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ নিয়েও কথা বললেন মেসি। তাদের স্বীকৃতি দিলেন সেরারও, ‘‘যদি ফলের দিক দিয়ে বলেন তাহলে সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ওরা ১৫টা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। তবে খেলার ধরনের দিক থেকে আমি গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে পছন্দ করি। গার্দিওলা যে দলে থাকবেন সেটি বিশেষ হবে।’’
