২৬ রানে নেই ৬ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েননি লিটন দাস। মেহেদী হাসান মিরাজকে লড়াই করেন পাকিস্তানি বোলারদের বিপক্ষে। তার রাজসিক সেঞ্চুরিতে অবিশ্বাস্যভাবে রাওয়ালপিন্ডির সেই টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সিরিজও জিতেছিল ২-০’তে।
এভাবে দায়িত্ব নিয়েই এখন থেকে খেলতে চান লিটন দাস। মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমিুখি হয়ে এই উইকেটকিপার ব্যাটার বললেন, ‘‘আমি অলমোস্ট ৯-১০ বছর হয়ে গেছে ক্রিকেট খেলতেছি। ওইটুকু এক্সপেরিয়েন্স তো হয়েছে। এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার। তো এখন যদি দায়িত্ব না নেই, তাহলে আর কবে। আর আমি বলতেছি যে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে, জিনিসটা এই না যে প্রতি ম্যাচে আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মানুষ, মিস্টেক হতে পারে।’’
পাকিস্তান সিরিজে ভালো খেলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী দলই গড়েছে ভারত। আর পাকিস্তান অধ্যায় ভুলে ভারতকে নিয়েই এখন ভাবছেন লিটন, ‘‘ আমার কাছে মনে হয় দুই দলেরই ব্যাটিং ডেপথ খুবই ভালো। দুই টিমই যখন খেলতে নামবে ৭-৮ জন ব্যাটসম্যান থাকবে, মেইন ব্যাটসম্যান। দেখেন আমরা পাকিস্তানে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা পাস্ট হয়ে গেছে। এটা থেকে আমরা কিছুটা কনফিডেন্স পেয়েছি। নিজেদের কন্ডিশনে তারা খুব ভালো দল। তাদের টেস্ট ক্রিকেটে যদি র্যাঙ্ক ধরেন তারা উপরে। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিংই হবে।’’
পাকিস্তান সিরিজটা ভুলতে চাইলেও সেই সিরিজের ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে চান লিটন, ‘‘ভারত অনেক বড় একটা দল। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা অনেক ভালো করছি। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ একজন খেলোয়াড়ের জন্য। আর ভালো খেললে বাহবা তো পাবেই। এই মুহূর্তে ভারতকে নিয়ে ভাবছি।ব্যক্তিগত লক্ষ্য হলো দলকে যতটুকু দেওয়া যায়। আমার তরফ থেকে আমি সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’’
টেস্টে এখন নীচের দিকে ব্যাট করেন লিটন দাস। এজন্য শট খেলে রানের চাকা সচল রাখতে চান লিটন, ‘‘ আমি যে জায়গায় ব্যাটিং করি বেশিরভাগ মিরাজকেই পাবো। অথবা যদি উপর থেকে কেউ থাকে মুশফিক ভাই বা সাকিব ভাই একজনকে পাবো অথবা টপঅর্ডার থেকে একজনকে পাবো। একটা ব্যাটার মিরাজ প্লাস বোলার, তো আমি যদি একটু শট না খেলি টিমের স্কোরবোর্ডও চলবে না আর আমার মনে হয় যে আমিও আটকে থাকবো।’’
ব্যাটিং পজিশনে চাপ নিয়ে লিটন জানালেন চাপে না থাকার কথা। মেহেদী হাসান মিরাজেরও ভূয়সী প্রশংসা করলেন তিনি,‘‘চাপ সব জায়গায়। শুধু ওপেন করলে চাপ আর ছয়ে করলে চাপ নাই, এমন না। আর ব্যাটার নেই ভুল কথা। আমার চেয়ে ভালো ব্যাটার নীচে আছে মিরাজ, সুতরাং ব্যাটার আছে। চাপ না, আমার কাছে মনে হয় টেস্ট ক্রিকেট এমন একটা খেলা, অনেক সময় আছে। তো আপনি যখনই ব্যাটিং করেন, ০ থেকে শুরু করে সারাদিন সময় আছে আপনার কাজে লাগানোর। আমার মনে হয় চাপ না, আমি যেভাবে প্র্যাকটিস করি, আমি সেভাবেই চেষ্টা করছি খেলার।’’
পাকিস্তানে খেলতে হয়েছে কোকাবুরা বলে। ভারতে খেলতে হবে এসজি বলে। এই বল বদলটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন লিটন, ‘‘সামনে যেই সিরিজটা আসছে সেটা অনেক চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ। আপনারা জানেন ভারত বড় একটা দল এবং আমাদের বলটাও পরিবর্তন হচ্ছে। এই বলে আমরা খুব কমই খেলি। চ্যালেঞ্জিং হবে আমাদের খেলোয়াড়রাও খুব পরিশ্রম করছে। দেখা যাক কি হয়। কোকাবুরা বলের নতুন বলটা খেলা কঠিন, পুরাতন বলটা খেলা সহজ। তবে এসজি বলে নতুন বলটা একটু সহজ, পুরাতন বলটা খেলা কঠিন।’’