চেন্নাইয়ের উইকেটে তখন সেট হয়ে গেছেন লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন গড়েছিলেন ৫১ রানের জুটি। মনে হচ্ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিপর্যয়ের পর যেভাবে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছিল সেই চেষ্টাই করছেন দুজন।
তখনই ধাক্কা। রবীন্দ্র জাদেজাকে সুইপ করতে গিয়ে আউট লিটন। সেই জাদেজার বলে বিস্ময়করভাবে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট সাকিব আল হাসানও। দুটি শটই ছিল উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা।
তাতে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। লিটনের সুইপ নিয়ে ধারাভাষ্যে তামিম ইকবাল বলছিলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের সুইপ খেলি না আমি। পুরোপুরি সেট হওয়ার আগে বলের বাঁকের বিপরীতে এই শট খেলা ঝুঁকির।’’
এর কিছুক্ষণ পর সাকিব আল হাসানের রিভার্স সুইপে আউট হওয়া নিয়ে তামিম বললেন, ‘‘সাকিবের আউটে আমি বিস্মিত। রিভার্স সুইপ ওর শট না। ও তো এই শট খেলে না।’’
এরপর সম্প্রচারকারী চ্যানেল ‘জিও সিনেমায়’ চা বিরতির সময় কথা বলেন তামিম। সেখানে লিটনের আউট নিয়ে বললেন, ‘‘সুইপটা ছিল ভুল শট। ওটার দরকার ছিল না। সাকিবের রিভার্স সুইপ নিয়েও একই কথা বলব। পিচে তখন কিছু ছিল না (স্পিন)। সেখানে স্বাভাবিক খেলাটাই খেলা উচিত ছিল। লিটনের সেই সুইপের আগে সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে আমি বলব এটা (সেই শট খেলতে বাধ্য করাটা) ছিল রোহিত ও জাদেজার মাস্টারস্ট্রোক।’’
কীভাবে লিটনকে সুইপ করতে বাধ্য করিয়েছেন দুজন এর ব্যাখ্যায় তামিম বললেন, ‘‘লিটনের জন্য একটা শর্ট লেগ ছিল। সেই সুইপ খেলার আগে শর্ট লেগকে শর্ট পয়েন্টে আনা হয়। এর অর্থ লিটনের সিঙ্গেল নেওয়ার জায়গাটা বন্ধ করে সুইপ করতে প্রলুব্ধ করা হয় ওকে, আর সেটাই ঘটেছে।’’