বাংলাদেশ দলকে নিয়ে সবচেয়ে যে ব্যাপারটিতে আলোচনায় হয় বেশি, তা হল ধারাবাহিকতা। উন্নতির গ্রাফটা কখনই ধারাবাহিক ভাবে উপরে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সাফল্যের পরও দলটি নিচের দিকে নেমেছে।
২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ড যায়। অথচ নিজেদের পারফরম্যান্সের দোষে কিছু ম্যাচে জিততে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবে সেমিফাইনালেও খেলা হয়নি।
শুধু পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ওয়ানডেতে নয়, বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেও একই অবস্থায় আছে। ক্রিকেটারদের অনিয়মিত সাফল্য দলটিকে বরাবরই আনন্দের চেয়ে বিষাদ উপহার দিয়েছে।
আরব আমিরাতের বিপক্ষেও ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাবে লজ্জার সিরিজ হার হজম করতে হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সেই আক্ষেপ শোনা গেল লিটনের কন্ঠে, “অবশ্যই আমরা যদি ধারাবাহিক হতাম, তাহলে হয়তোবা বিশ্বের সেরা দলের মধ্যে থাকতাম। আমরা যেহেতু পেছনের দল, তার মানে কিছু ঘাটতি আছে। ওই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি কীভাবে ধারাবাহিক হওয়া যায়।”
লিটন মনে করেন প্রতি সিরিজেই চ্যালেঞ্জের ভিন্নতা থাকে। তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এসব মানিয়ে নিয়ে দল হিসেবে পারফরম করতে চান লিটন, “প্রতিটি সিরিজে একটা ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একরকম চ্যালেঞ্জ ছিল, আরব আমিরাতে এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। আমার মনে হয়, এখানে তিনটা ম্যাচেও চ্যালেঞ্জ থাকবে। তো চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কীভাবে নিচ্ছি এবং কীভাবে একসেপ্ট করছি এবং দল হিসেবে কীভাবে সামগ্রিক পারফর্ম করছি, এটা হচ্ছে দেখার বিষয়।”
এই সিরিজে নিজের তিন অস্ত্র মোস্তাফিজ, তাসকিন ও সৌম্যকে পাচ্ছেন না লিটন। তাদের ছাড়া দলের অভিজ্ঞতার কমতি হয়েছে বটে, তবে লিটনের চোখে নতুনদের জন্য এটা বড় সুযোগ।
অধিনায়ক বলেছেন, “তাসকিন ও ফিজ, আমাদের দুইটা কী-ফ্যাক্টর। আর এটা একটা ভালো দিক যে, তারা যখন না খেলবে, সেই জায়গাটা কে দখল করবে, ওই জায়গায় কে বসবে। আমার মনে হয়, দুইটা ক্রিকেটারের জন্য এটা খুব ভালো সুযোগ যে তারা এই সুযোগগুলো নিচ্ছে এবং আমার মনে হয় তারা এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।”