Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সমস্যায় ভোগা ক্রিকেটাররা যান না কোচদের কাছে!

লিটনের সঙ্গী হতাশা। ছবি: টুইটার
লিটনের সঙ্গী হতাশা। ছবি: টুইটার
Picture of ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাধারণত বিদেশি কোচরাই এসেই বলেন, এদেশে প্রতিভার আকাল নেই। প্রশ্নটা হলো, এত প্রতিভার পরও দেশের ক্রিকেট কেন এই জায়গায় পড়ে আছে? একটি উত্তর হতে পারে, প্রতিভাবানরা কমই নিজেদের পারফরমার করে তুলতে পেরেছেন। এজন্য যে বাড়তি পরিশ্রম লাগে সেটাই-বা করে কজন। সাকিব আল হাসান যখন বড় তারকা হয়েও ম্যাচের দিন ব্যাটিং অনুশীলন করেন তখন লিটন দাসরা ম্যাচে গিয়েই রান খোঁজেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম সুপারস্টার ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার পরে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের তালিকা করলে সারিটা বেশ লম্বা হবে। এর মধ্যে সাব্বির রহমান, নাসির হোসেনসহ অনেক প্রতিভা অকালে ঝরে গেছেন। লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তরা টানা সুযোগ পেয়েও ধারাবাহিক হতে পারছেন না।

প্রতিভাকে পারফরমে রূপান্তর করাদের সংখ্যাটা খুব কম বাংলাদেশ ক্রিকেটে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদরা নিজেদের চেষ্টায় লম্বা সময় জাতীয় দলে আছেন। এবং পারফরমও করছেন।

“কোচকে দোষ দেওয়ার চেয়ে, ক্রিকেটারদের সমস্যাই বেশি দেখি। ক্রিকেটাররা সমস্যায় ভুগলেও কোচদের সঙ্গে কথা বলে না। কোচরা পরামর্শ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকলেও খেলোয়াড়রা নিজে থেকে যায় না।”

নাইমুর রহমান দুর্জয়

কিন্তু নতুন ক্রিকেটারদের অনেকের মাঝেই ভালো পারফরমার হওয়ার ক্ষুধাটা দেখেন না সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। গত কিছুদিনে অফ-ফর্মে পড়া সাকিব প্রচুর চেষ্টা করে যাচ্ছেন, চোখের সমস্যার মধ্য থেকেও ফর্মে ফিরতে মরিয়া হয়েছেন। সাধারণত কোনও ক্রিকেটার ম্যাচের দিন অনুশীলন করেন না। প্রথা ভেঙ্গে দুপুরে ম্যাচের আগে সকালে এক দফা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন এই অলরাউন্ডার। টিপস নিয়েছেন বিভিন্ন কোচের কাছ থেকে। তার মতো চেষ্টা কি লিটন -সৌম্যদের আছে?

দুর্জয় দুঃখ করে বলেছেন এখনকার ক্রিকেটাররা অনেক উদাসীন, “ক্ষুধার জায়গাটা আসলে আমাদের সময় বেশি ছিল। কারণ আমাদের সময় এত কোচ, এত সুবিধা ছিল না। এখন কিন্তু সব আছে। তবে ক্রিকেটাররা অনেক উদাসীন, এত উদাসীন হলে আসলে…। জুনিয়র লেভেলেও উদাসীনতার কারণে ঝরে পরে অনেকে। পারফরম করার আগ্রহটা ওদের আরও বাড়ানো উচিত।”

জাতীয় দল ও বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আলাদা বিদেশি কোচ থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তাদের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেন না। বেশির ভাগ কোচ দেশি ক্রিকেটারদের ব্যাপারে এমনই বলেছেন হাই পারফরম্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান দুর্জয়ের কাছে।

তাই ক্রিকেটাররা বিপিএলে বাজে সময় কাটিয়েও উঠতে পারছেন না। তাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্জয় ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “কোচকে দোষ দেওয়ার চেয়ে, ক্রিকেটারদের সমস্যাই বেশি দেখি। ক্রিকেটাররা সমস্যায় ভুগলেও কোচদের সঙ্গে কথা বলে না। কোচরা পরামর্শ দেওয়ার জন্য তৈরি থাকলেও খেলোয়াড়রা নিজে থেকে যায় না। ক্রিকেটারদেরই দায়িত্ব নিজেদের সমস্যা কাটিয়ে ফর্মে ফেরা।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত