Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

লাইভ : ম্যাজিক নম্বর পার ট্রাম্পের

ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের মঞ্চে স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন তিনি। ছবি : রয়টার্স
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের মঞ্চে স্ত্রী মেলানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন তিনি। ছবি : রয়টার্স
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যে ডোনাল্ড ট্রাম্পই হচ্ছেন, তা এখন নিশ্চিত। সব রাজ্যের ভোটের ফল এখনও আসেনি। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোটের প্রয়োজন, রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প তা ছাড়িয়ে গেছেন। ফলে আগামী ২০ জানুয়ারি তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। এই পর্যায়ে নির্বাচন ফল নিয়ে সকাল সন্ধ্যার ‘লাইভ’ আয়োজনের এখানেই সমাপ্তি টানা হলো।

ম্যাজিক নম্বর পার ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মহাপ্রত্যাবর্তনে আনন্দে ভাসছে রিপাবলিকানের লাল শিবির। সেই খুশি ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে ট্রাম্প-নীতির অনুসারীদের মধ্যেও।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিজয় পেয়েছেন ট্রাম্প। জয়ের দেখা পেতে যে ২৭০ ম্যাজিক নম্বরের সীমা ছিল, সেটি পেরিয়ে তিনি ২৭৯ রাজ্যে জয় দেখলেন। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৩ ইলেক্টোরাল কলেজ।
অত্যন্ত মেরুকৃত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এবারের প্রচারণার সময় ট্রাম্পের ওপর দুইবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকাকে রক্ষা করতে স্রষ্ট্রাই আমাকে বাঁচিয়েছে।”
ট্রাম্প হবেন দ্বিতীয় রিপাবলিকান যিনি ২০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসছেন। রিপাবলিকান আরেক নেতা জর্জ বুশ ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
ট্রাম্প দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনায় জয় পেয়েছেন। আর পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন ও নেভাদাতে এগিয়ে রয়েছেন।

ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের ‘বিজয়ী’ ভাষণের ৫টি বিষয়

নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে ফ্লোরিডায় সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ৫টি বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
ভোটারদের ধন্যবাদ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আপনাদের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট এবং ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অসাধারণ সম্মানের জন্য আমি আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
জনপ্রিয়তার কারণে ভোটে জয় : ভোট গণনা এখনও শেষ না হলেও এই নির্বাচনে ট্রাম্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।”
জেডি ভ্যান্স ‘একটি ভালো পছন্দ হিসেবে দেখা দিয়েছে’ : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প তার রানিং মেট জেডি ভ্যান্সের প্রশংসা করেছেন, যিনি বক্তৃতার সময় বলেছিলেন, ট্রাম্প “আমেরিকান ইতিহাসে বিশাল রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন” এর কাছাকাছি রয়েছেন। 
ইলন মাস্ক একজন ‘তারকা’: ট্রাম্পের বক্তৃতার একটি অংশজুড়ে ছিলেন টেক বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্ক। ইলনকে ‘একজন চমৎকার মানুষ’ বলেন ট্রাম্প।
আরএফকে জুনিয়র ‘আমেরিকাকে আবার সবল করে তুলবে’ : সাবেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র, যিনি ভ্যাকসিন নিয়ে ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, তার প্রশংসাও করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, কেনেডি তার প্রশাসনে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ভূমিকা রাখবেন। গত আগস্টে কেনেডি ট্রাম্পকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে যান।

ট্রাম্প কিংবা বাইডেনে পার্থক্য দেখছে না ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছে, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই ইরানের। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজে যেই যাক না কেন, তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে কোনও নড়চড় হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের জয়ের খবরে এই প্রতিক্রিয়া আসে তেহরান থেকে। ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতমেহ মোহাজেরানিকে উদ্ধৃত করে তাসনিম নিউজ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সঙ্গে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যে সাধারণ নীতি, তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না।

ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর পরিকল্পনা নেই পুতিনের

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশ্বনেতারা অভিনন্দন জানানো শুরু করলেও সেই মিছিলে শামিল হচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর কোনও পরিকল্পনা রুশ প্রেসিডেন্টের নেই।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেছেন, “মনে রাখতে হবে যে এখানে এমন একটি রাষ্ট্রের কথা হচ্ছে, যেটি আমাদের বন্ধুপ্রতীম নয়। এটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত।”
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানোর আগে মস্কো আরও সময় নিতে চায় বলে জানান তিনি। তারা দেখতে চায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে কী করেন।

ট্রাম্পকে বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার সোশাল মিডিয়া এক্সে অভিনন্দন জানান।

বেলা ২:৩৬ মিনিট

ট্রাম্পকে জেলেনস্কির অভিনন্দন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সোশাল মিডিয়া এক্সে তিনি লেখেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার চমকপ্রদ নির্বাচনী জয়ে আন্তরিক অভিনন্দন!
“সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের কথা মনে পড়ে। তখন আমরা বিস্তারিতভাবে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারত্ব, বিজয় পরিকল্পনা ও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।”
তিনি আরও লেখেন, “বৈশ্বিক ইস্যুতে ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতির প্রতি আমি গভীরভাবে প্রশংসা জানাই। এই নীতিই ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বাস্তবসম্মতভাবে অগ্রসর হতে সহায়ক।”

নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা ট্রাম্পের

ফ্লোরিডায় সমর্থকদের সামনে দাড়িয়ে নিজের বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় সামনে উপস্থিত সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমেরিকার জনগণের জন্য এটা এক দুর্দান্ত বিজয়। আমাদের আবার আমেরিকাকে মহিমান্বিত করার সুযোগ করে দেবে এ বিজয়।”
গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভেনিয়ার সব ইলেকটোরাল ভোট জয়ের সংবাদ পাওয়ার পরেই ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করলেন।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে,  ২৭০ ইলেকটোরাল পেতে ট্রাম্পের দরকার আর চারটি ভোট। বিজয়ের কাছাকাছি তিনি।

তীব্র হর্ষধ্বনির মধ্যে মঞ্চে উঠলেন ট্রাম্প

সমর্থকদের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্প (বামে), এরপরই স্ত্রী ও রানিং মেটসহ অন্যদের নিয়ে মঞ্চে ওঠেন তিনি।

পেনসিলভেনিয়ায় জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের ক্যাম্পেইনের ওয়াচ পার্টির মঞ্চে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তার সমর্থকরা তীব্র হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়।
ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন রানিং মেট জেডি ভান্স, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং দলের কয়েকজন কর্মী।
এই জয়কে রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখছেন জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে নির্বাচিত করায় সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। তখন মঞ্চের নিচে থাকা সমর্থকদের ভিড় থেকে চিৎকার করে ‘আমেরিকা, আমেরিকা’ বলে স্লোগান ভেসে আসতে থাকে।’
ট্রাম্প বলেন, “আমেরিকার ক্ষত নিরাময়ে কাজ করব আমরা। এখন শুরু হবে দেশের স্বর্ণসময়। এই বিজয় আমেরিকার জনগণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আবার আমেরিকাকে সেরা দেশে পরিণত করার সুযোগ পাবো।”
এরপর তিনি তার ক্যাম্পেইনের স্লোগান ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ উচ্চারণ করেন। সমর্থকরাও তাতে সায় দেন।

ব্যাটলগ্রাউন্ড পেনসিলভেনিয়ায় জিতলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভানিয়ার ১৯টি ইলেকটোরাল ভোটও জিতে নিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে পেনসিলভানিয়া জিতেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
২০১৬ সালে ট্রাম্প পেনসিলভানিয়া জিতে প্রথম রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট হন।

জর্জিয়ায় জিতলেন ট্রাম্প

দোদুল্যমান সাত অঙ্গরাজ্যের অন্যতম জর্জিয়ায় জয় পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যটিতে আবারও উড়ল রিপাবলিকান পতাকা।
এর আগে ২০২০ সালে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে এই রাজ্যে হেরেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, জর্জিয়ায় মোট ভোটের ৫০ দশমিক ৯ শতাংশই গেছে ট্রাম্পের ঝুলিতে। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট।
এই অঙ্গরাজ্যে মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬টি। বেশি ভোট পাওয়ায় এই ১৬টি ইলেকটোরাল ভোটের সবগুলোই পাবেন ট্রাম্প।

টিকে থাকতে এখন পেনসিলভেনিয়াই কমলার ভরসা

সিএনএনের সাংবাদিক জন কিং বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলিনা ও জর্জিয়ায় জিতেছেন। অন্য ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যেও এগিয়ে থাকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের বিজয়ের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। পেনসিলভানিয়ায় তার জন্য জয় এখন অত্যাবশ্যক। হ্যারিস ‘ব্লু ওয়াল’ রাজ্য—উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া—এবং সান বেল্ট রাজ্য—নেভাদা ও অ্যারিজোনা—মিলিয়ে বিজয়ের কৌশল গড়ে তুলতে পারেন। তবে পেনসিলভানিয়া ছাড়া সেই পথ সম্ভব নয়।

ওয়াচ পার্টিতে যাচ্ছেন না কমলা

ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে বুধবার সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল কমলা হ্যারিসের। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে তার জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসায় নির্ধারিত ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনবিসি। 
হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে সমবেত হওয়া দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জ্যেষ্ঠ সহকারী সেড্রিক রিচমন্ড বলেন, “আমাদের এখনও ভোট গণনা বাকি। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের ফল এখনও আমাদের হাতে আসেনি।
“ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বক্তব্য আজ আপনারা শুনতে পাবেন না। তবে আগামীকাল তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।”

কমলা জিতলেন ওয়াশিংটনে

এপি জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ওয়াশিংটনের ১২টি ইলেকটোলাল ভোট জিতে নিলেন কমলা হ্যারিস। এই রাজ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কম। ১৯৮৪ সালে রোনাল্ড রিগানের পর থেকে ওয়াশিংটন কোনো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সমর্থন করেনি। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটনে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন। সেখানে ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩৯ শতাংশেরও কম ভোট।

ভোটের দিনে বন্যায় ২ নির্বাচনকর্মীর মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্যেই দেশটির মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে বন্যায় দুই নির্বাচনকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মিসৌরির রাইট কাউন্টি ক্লার্কের কার্যালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, রাজ্যের কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যার কারণে মঙ্গলবার দুই নির্বাচনকর্মীর মৃত্যু হয়।
‘প্রাণহানির ঘটনায় রাইট কাউন্টি ক্লার্কের কার্যালয় মর্মাহত’ একথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “গত রাতের ঝড়ের মধ্যে দ্রুতগতিতে আসা ঢলের কারণে এই বন্যা দেখা দেয়।”
মিসৌরি রাজ্যের হাইওয়ে প্যাট্রোল জানিয়েছে, বেভার ক্রিকে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া গাড়ি থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভুক্তভোগী দুজনের মধ্যে একজন ৭০ বছর বয়সী পুরুষ এবং অপরজন ৭৩ বছর বয়সী নারী।

বিস্তারিত পড়ুন: ভোটের দিনে যুক্তরাষ্ট্রে বন্যায় ২ নির্বাচনকর্মীর মৃত্যু

ব্যাটলগ্রাউন্ড নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্পের জয়

ব্যাটলগ্রাউন্ড নর্থ ক্যারোলাইনায় ট্রাম্পের জয়ের খবর জানিয়েছে সিএনএন। রাজ্যটির ইলেকটোরাল ভোট ১৬টি।
২০২০ সালে ট্রাম্প সামান্য ব্যবধানে এই ব্যাটলগ্রাউন্ডে জয় পেয়েছিলেন।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম রাজ্যগুলোর একটি। সেখানে ২০০৮ সালে বারাক ওবামা জয়লাভ করলেও পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনে রিপাবলিকানরা অল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। অবশ্য জর্জিয়া ও অ্যারিজোনার মতো রাজ্যগুলো রিপাবলিকানদের থেকে সরে এসেছে।

ক্যালিফোর্নিয়া কমলা হ্যারিসের

সিএনএন জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জয় পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। এর মধ্য দিয়ে রাজ্যের ৫৪টি ইলেকটোরাল ভোটও পেলেন তিনি।
ডেমোক্র্যাট-প্রধান এই রাজ্যে কমলা এর আগে সেনেটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে এমন ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল।
ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য। সেখানে ১৯৮৮ সালের পর থেকে কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। ক্যালিফোর্নিয়ায় নিবন্ধিত ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা রিপাবলিকানদের প্রায় ২-১ অনুপাতে বেশি। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি রাজ্যের প্রতিটি প্রধান পদে রয়েছে এবং আইনসভা ও কংগ্রেসীয় প্রতিনিধি দলেও আধিপত্য বজায় রেখেছে।

জর্জিয়ায় বোমা আতঙ্কে বাড়ল ভোটের সময়

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটদানের সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে বোমা আতঙ্কের কারণে ১২টিতে এবং ‘স্বাভাবিক কারণে’ তিনটিতে ভোট দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্রাড রাফেন্সপার্গার।
আর ১২টি স্থানে বোমা হামলার হুমকির সবগুলোই রাশিয়া থেকে এসেছে বলে প্রতীয়মান হওয়ার কথাও নিশ্চিত করেছেন রাফেন্সপার্গার। তিনি বলেন, “এফবিআই জানে এটি (হুমকি) কোথা থেকে আসছে। তবে আমরা জননিরাপত্তার স্বার্থে নিশ্চিত করতে চাই যাতে এই হুমকি কারও ভোটদানে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়।”
জর্জিয়ার শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএস জানিয়েছে, জর্জিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫২ লাখের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে, যা একটি রেকর্ড। এর আগে এখানে এত ভোট পড়ার নজির নেই।
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, জর্জিয়ায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে প্রায় ৩ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনও শহরাঞ্চলের ভোট বাকি রয়েছে। এই রাজ্যে কমলাকে জিততে হলে শহরাঞ্চলের বেশিরভাগ ভোট পেতে হবে তাকে।

বিস্তারিত পড়ুন : জর্জিয়ায় বোমা আতঙ্কে বাড়ল ভোটের সময়

৪০টির বেশি রাজ্যে ভোটগ্রহণ শেষ

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ৪০টির বেশিতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে গেছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। এখন পর্যন্ত ফলাফলের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
বিবিসি লিখেছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অধিকাংশ রাজ্যের ফলাফল আঁচ করা যাবে। তবে কয়েকটি রাজ্যের ফল পেতে দেরি হতে পারে। যেমন নেভাডা, সেখানে ভোটের চূড়ান্ত ফল আসতে কয়েকদিন লাগতে পারে। কারণ রাজ্যটিতে ডাকের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। এসব পোস্টাল ব্যালট পৌঁছতে দেরি হয়। ফলে গণনা শেষ করতে শনিবার পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। আবার শেষ ভোটটি গণনা না হওয়া পর্যন্ত নেভাডায় ফল প্রকাশ হয় না। এই রাজ্যে ইলেকটরাল ভোটের সংখ্যা ৬টি।

আইওয়াতেও ট্রাম্প জয়ী

ডিসিশন ডেস্ক এইচকিউ জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইওয়া রাজ্যে জয়ী হয়েছেন। সেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৯১ ভোট। তার বিপরীতে কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৮১ ভোট।
রাজ্যটির ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা ৬।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই রাজ্যটি থেকে ২০০৮ ও ২০১২ সালে জয়ী হন। এরপর তিনবারই সেখান থেকে জয়ী হন ট্রাম্প।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত আইওয়া রিপাবলিকান ককাসে ট্রাম্প শক্তিশালী উপস্থিতি দেখান। ওই ঘটনা রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তার শক্ত অবস্থানের প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়েছিল।

ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প এগিয়ে

যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০টি হলেও মূলত সাতটিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে। এবার সেই রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে ট্রাম্প জয়ী হতে যাচ্ছেন বলে সিএনএন আভাস দিয়েছে। পেনসিলভেনিয়ায় লড়াই চলছে হাড্ডাহাড্ডি।
বিপরীতে কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন মিশিগান, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনে। তবে মিশিগানে মাত্র ১৯ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে। অ্যারিজোনায়ও এখনও অর্ধেক ভোট গণনা বাকি।
দোদুল্যমাণ রাজ্যগুলোর মধ্যে বাকি থাকা নেভাডার ফল নিয়ে কোনও আভাস এখনও মেলেনি।
ইলেকটোরাল কলেজে জর্জিয়ায় ভোট রয়েছে ১৬টি, পেনসিলভেনিয়ায় ১৯টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৬টি। এই তিনটিতেই ট্রাম্প এগিয়ে।
কমলা যেখানে এগিয়ে আছেন, তার মধ্যে মিশিগানে ইলেকটোরাল কলেজে ভোট ১৫টি, অ্যারিজোনায় ১১টি এবং উইসকনসিনে ১০টি।
নেভাডায় ইলেকটোরাল কলেজে ভোট ৬টি।

কানসাসে জয়ী ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কে জিতলেন কমলা

এপি জানিয়েছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস নিউ ইয়র্কে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ঐতিহ্যগতভাবে ডেমোক্র্যাটিক এই রাজ্যে এবারও কোনো চমক দেখা যায়নি। অঙ্গরাজ্যটির ইলেকটোরাল ভোট সংখ্যা ২৮।
২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেন নিউ ইয়র্ক সিটিতে ৬০.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩৭.৭ শতাংশ ভোট।

ফ্লোরিডায় ভোট দিলেন ট্রাম্প

ভোট দেওয়ার পর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্লোরিডার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “ভোট আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। আজ আমরা বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শুরু করেছি। মনে হচ্ছে রিপাবলিকানরা ব্যাপকভাবে উপস্থিত হয়েছে। দেখা যাক ফলাফল কেমন হয়।”
তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিয়ে কোনো আফসোস আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রত্যেক প্রচারে কিছু না কিছু আফসোস থাকে। তবে সৎভাবে বলতে গেলে, এই মুহূর্তে তেমন কিছু মনে পড়ছে না।”

বড় ব্যবধানে এগিয়ে ট্রাম্প

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ১৭৮ ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা পেয়েছে ৮১টি। ভোট প্রাপ্তির শতকরা হিসেবে ট্রাম্প পেয়েছেন ৫২.৩ শতাংশ ও কমলা ৪৬.৩ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ট্রাম্প ১৭২ ও কমলা ৮১ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন।
ফক্স নিউজের লাইভ বলছে, ট্রাম্প এরই মধ্যে ২০৫ ও কমলা ১১৭ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, কমলা ১০৯ ও তার বিপরীতে ট্রাম্প পেয়েছেন ১৯৮ ভোট।

সকাল সন্ধ্যায় স্বাগতম

যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রতীক্ষিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সকাল সন্ধ্যার আয়োজনে স্বাগত। দেশটির নির্বাচনের ভোটাভুটি প্রায় শেষের দিকে। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে এখনও ভোটগ্রহণ চলছে। এর বাইরে অধিকাংশ জায়গাতেই শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
যদি কমলা হ্যারিস জেতেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আড়াইশ বছরের ইতিহাসে পাবে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতেন, তাহলে দুই বার অভিশংসনের ধাক্কা পেরিয়ে প্রথম পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। অর্থাৎ যেই জিতুক, তা হবে নতুন ইতিহাস।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিততে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৫৩৮টির মধ্যে অন্তত ২৭০টি ভোট নিশ্চিত করতে হবে। যিনি তা পাবেন, তিনিই হবেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। এবার দেশটির নিবন্ধিত ১৬ কোটি ভোটার ভোট দিচ্ছেন।
কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প? দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো থাকছে কার দখলে? এমন বহু প্রশ্নের উত্তর জানতে থাকুন সকাল সন্ধ্যার আজকের নির্বাচনী আয়োজনে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত