‘পার্ক দ্য বাস’ বলতে যা বোঝায় নিজেদের রক্ষণে সেটাই করেছিল নটিংহাম ফরেস্ট। লিভারপুলের বলের দখল ছিল তাই ৭০ শতাংশ। পোাস্টে ১৪টা শটও নিয়েছে তারা। তারপরও সেই আক্রমণগুলোয় ধার ছিল না।
এরই মাশুল গুণে নটিংহাম ফরেস্টের কাছে লিভারপুল হারল ১-০ গোলে। এটা ছিল ১৯৬৯ সালের পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে নটিংহ্যামের প্রথম জয়। ৫৫ বছর পর এই জয়ের নায়ক ক্যালাম হাডসন-ওডোই। ৭২ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন তিনি। অ্যান্থনি এলাঙ্গার পাস পেয়ে সঙ্গে থাকা ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
ম্যাচ শেষে লিভারপুল গোলরক্ষক আলিসন বেকার উগরে দিলেন ক্ষোভ, ‘‘আমাদের রক্ষণ খুবই খারাপ ছিল। খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারিনি। নিজেদের মান অনুযায়ী খেলতে পারিনি ম্যাচটা, আরও এনার্জি দরকার। আমরা অনর্থক তিনটা পয়েন্ট হারালাম।’’
প্রিমিয়ার লিগের অপর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ গোলে ব্রেন্টফোর্ডকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৩-০ গোলে সাউদাম্পটনকে আর চেলসি ১-০ গোলে হারিয়েছে বোর্নমাউথকে।
ম্যানসিটির বিপক্ষে ইয়োয়ান উইসার গোলে ২২ সেকেন্ডেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্রেন্টফোর্ড। ধাক্কাটা দ্রুত কাটিয়ে উঠে পেপ গার্দিওলার দল। জোড়া গোল করে টানা চতুর্থ জয় এনে দেন আর্লিং হলান্ড।
১৯ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার বাড়ানো বল ধরে কিছুটা ঘুরে নেওয়া হলান্ডের শট জালে জড়ায় ব্রেন্টফোর্ডের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে। ৩২ মিনিটে গোলকিপার এদেরসনের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামনে এগিয়ে ব্রেন্টফোর্ড গোলকিপার মার্ক ফ্লেকেনকে ফাঁকি দিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩২ মিনিটে।
মৌসুমের প্রথম চার ম্যাচেই ৯ গোল করলেন হলান্ড। প্রিমিয়ার লিগে এমন রেকর্ড নেই আর কারও। এর আগে ইপসউইচ টাউন এবং ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন হলান্ড।
৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এখন ম্যানসিটি। সমান ম্যাচ ৯ পয়েন্ট লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলার।