মূল বিষয়
ঋণ খেলাপিদের জন্য নির্বাচনের পথ সহজ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমার এক দিন আগে খেলাপি ঋণ শোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া গেছে।
খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। আগের চেয়ে কম অর্থ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করা যায়। খেলাপি গ্রাহকদের আবারও ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
খেলাপি ঋণের পরিমাণে বড় কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কমিশন কী বলে
নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে এবারের নির্বাচনে ঋণ খেলাপিদের অংশগ্রহণের পথ সহজ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আরপিও সংশোধনের ফলে এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার এক দিন আগে খেলাপি ঋণ শোধ করলেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া গেছে। আগে সাত দিন আগে শোধ করতে হত। এছাড়া ব্যাংক থেকেও নানা সুবিধা পেয়েছে তারা। সে সব কারণে এবার ঋণ খেলাপি প্রার্থী কম হতে পারে।”
এআই’র চোখে
[কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ‘বার্ড’ এই সংবাদটিকে কিভাবে দেখছে তা পড়ুন নিচে]
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপি প্রার্থীর সংখ্যা কমে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ১০০ এর বেশি।
এই হ্রাসের প্রধান কারণ হলো ঋণ খেলাপিদের জন্য নির্বাচনের পথ সহজ করা। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে, এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার এক দিন আগে খেলাপি ঋণ শোধ করলেই প্রার্থী হওয়া গেছে। আগে সাত দিন আগে শোধ করতে হত। এছাড়া ব্যাংক থেকেও নানা সুবিধা পেয়েছে খেলাপিরা।
তবে, ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার ফলে জনগণের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, অনেকে মনে করতে পারে যে, ঋণ খেলাপিরাও নির্বাচনে জয়ী হতে পারে। এতে জনগণের মধ্যে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটতে পারে।
সুতরাং, ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন, ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আরও কঠোর শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনকে খেলাপিদের নির্বাচনী তহবিল থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।