Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

সব মেয়র-চেয়ারম্যান অপসারিত

রাজবাড়ী পৌরসভা। ফাইল ছবি
রাজবাড়ী পৌরসভা। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইনগুলো সংশোধনের পর জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় নির্বাচিত সব চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপসারণ করেছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেয়রদের অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি আলাদাভাবে প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনও হয়।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর এই পদগুলোর প্রায় সবক’টিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ছিলেন। তারা ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক রদবদল চলছে প্রশাসনে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে রবিবারই আইনগুলো সংশোধন করা হয়।

সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ আইন সংশোধন হয়।

আইন সংশোধনের একদিন পরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি হয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে।

৬০টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে।

এরমধ্যে বিভাগীয় শহরের আটটি জেলা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারদের জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি জেলাগুলোতে ডিসিরা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।

৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। তাদের জায়গায় এখন প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদেরও অপসারণ করা হয়েছে।

একইভাবে ৩২৩টি পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে।

১২টি সিটি করপোরেশনের সব মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। এর আগে ১৪ অগাস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অফিস আদেশে সিটি করপোরেশনগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এখন বিভাগীয় কমিশনার ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় পর এখন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষ পদে দায়িত্বরতরা অপসারিত হওয়ায় সেখানে দলীয় কেউ আর রইল না।

জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় মেয়র ও চেয়ারম্যানরা অপসারিত হলেও সদস্য ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়নি।

নতুন সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্থানীয় সরকারে নির্বাচিতদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের এবং সরকার পতনের পর দলটির প্রায় সব নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের আইনে এই দফায় কোনও সংশোধন আনা হয়নি। তবে কর্মস্থলে অনেক ইউপি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত আছেন উল্লেখ করে একটি প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত