ইয়র্কার, বাউন্সার, শর্ট লেন্থ, গুড লেন্থ, অফ স্টাম্পের বাইরে, মিডল স্টাম্প বরাবর, লেগ স্টাম্পের উপর, স্লোয়ার-ফাস্ট বোলিংয়ের সব অস্ত্রই ব্যবহার করলেন লকি ফার্গুসন। পাপুয়া নিউ গিনির ব্যাটারদের কাছে এর কোনও জবাব ছিল না। তাতেই হলো অবিশ্বাস্য কীর্তি।
নিউজিল্যান্ডের এই ফাস্ট বোলার ৪ ওভার বল করে ৪টাই পেলেন মেডেন। ২৪ বলে রানই দেননি কোনও! পাশাপাশি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন নজির নেই কারও। তবে টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভার বল করে ৪টা মেডেন নেওয়ার রেকর্ড আছে আরও একজনের। ২০২১ সালে পানামার বিপক্ষে ৪ ওভারে ০ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন কানাডার সাদ বিন জাফর।
ফার্গুসনের আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে পাপুয়া নিউ গিনি অলআউট হয়ে যায় ৭৮ রানে। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে কেবল ১৬ রান করেছিল তারা। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটা যৌথ পঞ্চম সর্বনিম্ন। এবারের বিশ্বকাপেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উগান্ডার ৩ উইকেটে ৯ রান সর্বনিম্ন।
এই ম্যাচ ১২.২ ওভারে ৭ উইকেটে সহজেই জিতেছে নিউজিল্যান্ড। সবচেয়ে বেশি ৩৫ রান করেছিলেন ডেভন কনওয়ে। কেন উইলিয়ামসন ১৮ ও ড্যারিল মিচেল অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে।
পিএনজির ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তিন জন পার হয়েছিলেন দুই অঙ্কের রানের কোটা। চার্লস আমিনি ১৭, সেসে বাউ ১২ ও নরমান ভানুয়া করেন ২৪। ২টি করে উইকেট ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও ইস সোধির। আর ফার্গুসন তো রেকর্ডই করেছেন ০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৪ ওভার বল করে এতদিন সবচেয়ে কম ৪ রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল টিম সাউদির। এবারের বিশ্বকাপে উগান্ডার বিপক্ষে ৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সাউদিকে ছাড়িয়ে গেলেন তারই স্বদেশী এক পেসার।
ম্যাচ শুরুর আগে কাঁধে কাঁধ রেখে দাঁড়িয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার টিম সাউদি, কেন উইলিয়ামসন ও ট্রেন্ট বোল্ট। হতে পারে আজকের ম্যাচটাই তাদের একসঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ। সেই ম্যাচটা ৪৬ বল হাতে রেখে জিতে স্মরণীয়ই করেছে কিউইরা।