না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার তালিকায় আরও ভিড় বাড়িয়েছে ২০২৪। শিল্পাঙ্গনে ছোট ও বড় পর্দায় অথবা মঞ্চে সুরের মূর্ছনায় একাগ্র মনোযোগ কেড়ে নেয়া প্রিয় শিল্পীদের মারা যাওয়ার খবর শিরোনাম হয়ে মন ভেঙ্গেছে ভক্তদের। মৃত্যু সবার জন্য অকস্মাৎ ভবিতব্য হলেও কোনো কোনো শিল্পীর মারা যাওয়ার ঘটনা অমীমাংসিত প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। আবার কোনো মৃত্যুর খবরে ভক্তরা ভেবেছে শিল্পীর চলে যাওয়া বুঝি এমনই হতে হয়।
২০২৪ সালে হারানো শিল্পীমুখদের নিয়ে স্মরণাঞ্জলি প্রতিবেদন করেছে সকাল সন্ধ্যা।
৭ ফেব্রুয়ারি: অভিনেতা আহমেদ রুবেল
নির্মাণকাজ শুরুর আট বছর পর মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয় পরিচালক নুরুল আলম আতিকের সিনেমা ’পেয়ারার সুবাস’। ঢাকার একটি সিনেপ্লেক্সে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত এই সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীর তারিখ ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। তারকাদের অনেকেই এসেছিলেন ওই আয়োজনে। সেখানে যোগ দিতে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন আহমেদ রুবেলও। এই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার এই সিনেমার প্রদর্শনী দেখা হয়নি এই অভিনেতার। অনুষ্ঠানস্থলে সন্ধ্যায় পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার একটু পর পড়ে যান তিনি। তারপর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানায়, তিনি মারা গেছেন।
আহমেদ রুবেলের হঠাৎ প্রয়াণের পর চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী চলবে কি চলবে না সেই প্রশ্ন ওঠে তাৎক্ষণিকভাবে। তবে প্রদর্শনী বন্ধ না করে চালানোর মতো বড় শ্রদ্ধা আর কী হতে পারে ভেবে স্ক্রিনে দেখানো হয় পেয়ারার সুবাস।
হলুদ জামা গায়ে কবুতর হাতে রুবেল যখন পর্দায় ভেসে ওঠেন তখন হলে আসা শিল্পীদের মনে উঠেছিল ‘হাহাকারের গুঞ্জন’।
১৩ মার্চ: সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদ
বন্ধু-স্বজন, সহশিল্পী এবং ভক্তদের হতচকিত করে ৬৯ বছর বয়সী রবীন্দ্র সঙ্গীতের শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
২০২৩ সালে ৯৬ বছর বয়সে মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ বয়স জনিত রোগে মারা গেলে ট্রমা ঘিরে ধরেছিল সাদি মহম্মদকে; এমন কথা বলেছিল স্বজনরা। ২০২৪ সালের ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতার করেছিলেন সাদি মহম্মদ। তারপর তানপুরা নিয়ে বসে গলা মেলান। ৭টা ২০ মিনিট কি সাড়ে সাতটা নাগাদ মোহাম্মদপুরে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
সন্ধ্যার পর থেকেই সাদি মহম্মদের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার পাওয়া এই শিল্পী শেষ কয়েক বছর নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেকের স্মৃতিচারণে বারবার একটি কথাই উঠে আসে, সাদি মহম্মদের মনে অনেক অভিমান জমে ছিল।
১৮ মার্চ: চাইম ব্যান্ডের ভোকাল খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহ
‘চাইমের খালিদ’ একসময় কণ্ঠের জাদু দিয়ে চাইমকেও ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। ‘এ হৃদয় ভেঙে গেলে জানো কি তা লাগে না, লাগে না জোড়া’ গেয়েছিলেন খালিদ। যদিও এক সময় কার্ডিয়াক আ্যারেস্টে হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট লাগাতে হলো তাকে।
শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে শ্রোতাদের হৃদয় ভেঙে দিয়ে ১৮ মার্চ ৭টা ১৫ মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ বছর বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা গেলেন তিনি। শেষ ঠিকানা হলো তার গোপালগঞ্জের গ্রামের বাড়ি।
মেলোডি রক গানের শিল্পী খালিদের মৃত্যুর খবর জানার পর ঢাকার গ্রিন রোডে তার বাসায় ছুটে আসেন শ্রোতা ও সহশিল্পীরা। খালিদের চলে যাওয়ার শোকের আবহ ব্যান্ডশিল্পীদের আরেকবার মনে করিয়ে দেয় ব্যান্ড সঙ্গীতের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই।
২২ এপ্রিল: অভিনেতা অলিউল হক রুমি
তিন যুগ আগে থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনো ক্রীতদাস’ নাটক দিয়ে শুরু করেছিলেন অলিউল হক রুমি। ওই বছর অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে ছোট পর্দাতেও অভিষেক ঘটে তার। এরপর ২০০৯ সালে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড় পর্দায় আগমন ঘটে।
শরীরে কোলন ক্যানসার বাসা বাঁধলেও তা প্রায় শেষ বেলায় জানতে পারেন অভিনয় শিল্পী অলিউল হক রুমি। ভারতের চেন্নাই এবং পরে দেশে ফিরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চালালেও শেষ পর্যন্ত ২২ এপ্রিল ভোরবেলা জীবনের ইতি টানেন নাটক ও সিনেমা জগতের একজন ‘রুমি ভাই’।
২৫ জুলাই: ব্যান্ড শিল্পী শাফিন আহমেদ
১৯৭৯ সালে বড় ভাই হামিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ‘মাইলস’ ব্যান্ডে যোগ দিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ। এই ব্যান্ডের ভোকাল ও বেইজ গিটারিস্ট ছিলেন শাফিন। যদিও এক সময় আর মাইলসের সঙ্গে থাকেননি শাফিন। কয়েক বছর আগে মাইলস থেকে বেরিয়ে গড়ে তোলেন নিজের নতুন ব্যান্ড ‘ভয়েস অব মাইলস’।
গত জুলাই মাসে কনসার্টে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে যান ৬৩ বছর বয়সী শাফিন। ভার্জিনিয়ায় তার কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কনসার্টের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মারা যেতে পারেন এমন শংকা উঁকি দিয়েছিল শাফিন আহমেদের মনে। শিল্পী সামিনা চৌধুরীর ফেইসবুক পোস্টে পাওয়া যায় সে আভাস। হাসপাতালে ভর্তি গুরুতর অসুস্থ শাফিন বারবার সামিনা চৌধুরীকে ’থেকে যেতে’ বলেছিলেন। আরও বলেছিলেন, ”আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার প্যানিক হচ্ছে … আমার ঘুম হচ্ছে না… আর তিন দিন পর দেখো আমাকে আর পাবা না … গল্প করো।”
হাসপাতালে ভর্তির পর লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থাতেই ২৫ জুলাই সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
৩০ জুলাই: গায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
নব্বই দশকের সাড়া জাগানো কন্ঠশিল্পী জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১১ সালে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছিল তার। ১৩ বছর ধরে চলা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষ গত ৩০ জুলাই। সেদিন দুপুর ১২টার কিছু আগে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সংগীতশিল্পী, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা ও উপস্থাপক জুয়েল।
১৯৯৩ সালে জুয়েলের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয়। পরের বছর রিলিজ পায় ‘এক বিকেলে’; জনপ্রিয় অ্যালবামটি তার নামের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায়। তিনি সবার কাছে হয়ে ওঠেন ‘এক বিকেলের জুয়েল’।
২৫ সেপ্টেম্বর: অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল
২০০৮ সাল থেকে টিভি নাটকে কাজ শুরু করেছিলেন আলাউদ্দীন লাল। ‘কঞ্জুস’, ‘কঞ্জুস-২’, ‘মায়া’, ‘নীড়’, ‘হৃদয়জুড়ে তুমি’, ‘বিয়ে করবই’ নাটক করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ৮২ বছর বয়স ছুঁতে ছুঁতে ৩০০ নাটকে অভিনয় করেন অভিনেতা লাল। ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে উত্তরার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৮ অক্টোবর: স্বাধীন বাংলা বেতার শিল্পী সুজেয় শ্যাম
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানটির সুর করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন তিনি। ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’ তার সুর করা গান।
২০১৮ সাল থেকে সুজেয় শ্যাম ক্যানসারে ভুগছিলেন। নিয়মিত চিকিৎসা চলার মাঝে ২০২৪ সালের জুনে তার হৃদযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। কিডনি ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতাতেও ভুগছিলেন তিনি।
১৮ অক্টোবর রাত ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৮ বছর বয়সী স্বাধীন বাংলা বেতার শিল্পী সুজেয় শ্যাম।
১৯ অক্টোবর: সংগীত শিল্পী মনি কিশোর
প্রকৃত নাম মনি মণ্ডল হলেও কিশোর কুমারের ভক্ত বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়ে হলেন মনি কিশোর। প্রায় এক দশক আগে তার সর্বশেষ অ্যালবাম হয়। ‘কী ছিলে আমার বলো না তুমি’ মনি কিশোরের নিজের লেখা, সুর করা এবং গাওয়া জনপ্রিয় গান। উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘কে অপরাধী’ সিনেমাতে এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন ওমর সানি।
পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দেয়া এই শিল্পী রামপুরা বিটিভি ভবনের পেছনের একটি বাসায় একাই থাকতেন। গান থেকেও দূরে ছিলেন তিনি। সংগীতের সহকর্মীদের সঙ্গেও বাড়ছিল দূরত্ব।
১৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নিজ বাসায় মৃত পাওয়া যায় মনি কিশোরকে। ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসায় বাড়িওয়ালা জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে।
মনি কিশোরের মৃত্যুর পর শিল্পীদের একাকিত্ব ও পেশাগত জীবনের অসহায়ত্ব ও অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিষয়টি আরও একবার সকলকে নাড়া দেয়।
৩১ অক্টোবর: অভিনেতা মাসুদ আলী খান
মঞ্চ নাটক দিয়ে অভিনয়ের হাতেখড়ি মাসুদ আলী খানের। ১৯৫৬ সালে তিনি দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
জীবনের শেষ দিকে ঘরে বসেই কেটেছে তার। ৯৫ বছর বয়সে ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারতেন না। ঢাকার গ্রিন রোডের নিজ বাসায় ৩১ অক্টোবর বিকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মাসুদ আলী খান। এই নন্দিত অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোকে ডুবে যায় তার ভক্তরা এবং সংস্কৃতিঅঙ্গন।
১০ নভেম্বর: অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন
ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় নাট্যজন মামুনুর রশীদ পরিচালিত ‘আনন্দ পাঠ আসর’ ছিল আফরোজার প্রথম অভিনীত নাটক। শুরুতে চাকরির ফাঁকে অভিনয় করতেন। ২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে পুরোদমে অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন। ঠেটারু’, ‘সূর্য অস্তের আগে’, ‘বিদেশি ছেলে’ তার অভিনীত নাটক।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জরায়ুর ক্যান্সার ধরা পড়ে আফরোজা হোসেনের; যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে মেরুদণ্ডের হাড়েও।
দুই বছর শরীরে মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে ৫৫ বছর বয়সে হার মানেন তিনি। ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় ঢাকার কল্যাণপুরের বাসায় মারা যান আফরোজা হোসেন।
৬ ডিসেম্বর: গীতিকার-সুরকার আবু জাফর
রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার আবু জাফর রচিত ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান পেয়েছিল। ‘তোমরা ভুলেই গেছ মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ তারই লেখা গান।
৮২ বছর বয়সে ৬ ডিসেম্বর ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
১২ ডিসেম্বর: সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার
ছায়ানটে দীক্ষা নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে যান পাপিয়া সারোয়ার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ পেয়েছিলেন এই শিল্পী। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে।
কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগে ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭২ বছর বয়সী পাপিয়া সারোয়ার।
২০ ডিসেম্বর: চলচ্চিত্র নির্মাতা সি বি জামান
সি বি জামান পরিচালিত ’পুরস্কার’ সিনেমা ১৯৮৩ সালে পাঁচ বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।
‘উজান ভাটি’ এই নির্মাতা কয়েকবার স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সি বি জামান।
২০ ডিসেম্বর: গিটারিস্ট মিনহাজ আহমেদ পিকলু
রকস্ট্রাটা, জলি রজার্স, মাকসুদ ও ঢাকা এবং অর্থহীনের মতো ব্যান্ডের সঙ্গে বাজিয়েছিলেন মিনহাজ আহমেদ পিকলু। ‘অদ্ভুত সেই ছেলেটি’, ‘সূর্য’, ‘রাতের ট্রেন’, ‘গুটি’, ‘নির্বোধ’ গানে গিটার বাজানো মানুষটি তিনিই।
রাজধানীর রামপুরায় একটি গিটার প্রশিক্ষণ স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে গিটার নিয়ে জ্যামিং শুরু করেছিলেন পিকলু। এরমধ্যেই চেয়ারে লুটিয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। ২০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টায় হৃদ্রোগে মৃত ঘোষণা করা হয়।
গিটার বাজাতে বাজাতে এই গিটারিস্টের বিদায়ে শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতাঙ্গনে।
