বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে লঘুচাপ। এটি নিম্নচাপে পরিণত হলে ঝড়বৃষ্টি তো হবেই, পরবর্তীতে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যায় সকাল সন্ধ্যাকে এসব কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ওমর ফারুক।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল বা দুপুরের দিকেই লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ফলে বৃষ্টি ও ঝড়ও হতে পারে। এরপর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
দেশের যেসব অঞ্চলে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হবে সেখানে তাপমাত্রা কমলেও অন্যান্য এলাকায় বাড়তে পারে বলে জানালেন এই আবহাওয়াবিদ।
ওমর ফারুক বলেন, “এখন সাগরে লঘুচাপই রয়েছে। তবে আগামীকালে সকাল অথবা দুপুর নাগাদ এটা নিম্নচাপে, এরপর সেটা ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমাদের ওয়েবসাইটে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।”
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে। শুক্রবারও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।