বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে যে রেকর্ড গড়েছিলেন সেটা টপকে গেলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
প্রথমে ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে মাবিয়া স্ন্যাচে তুলেছিলেন ৭৮ কেজি। আর ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তোলেন ১০২ কেজি। ওই আসরে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে হয়েছিলেন ষষ্ঠ।
এরপর ২০২২ সালের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে ১৮১ কেজি ওজন তোলেন তিনি। সেবার ১২ জনের মধ্যে অষ্টম হয়েছিলেন তিনি। নিজের কমনওয়েলথ গেমসের সেরা দুটো পারফরম্যান্সকে এবার ছাড়িয়ে গেলেন মাবিয়া।
বাগেরহাটে চলমান ৪০তম পুরুষ ও ১৭তম মহিলা জাতীয় ভারোত্তোলনে দুটি কমনওয়েলথ গেমসের স্কোরই মাবিয়া টপকে গেলেন শনিবার। বাংলাদেশ আনসারের ভারোত্তোলক মাবিয়া এবার খেলেছেন ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে।
এসএ গেমসে সোনাজয়ী ভারোত্তোলক প্রথমে স্ন্যাচে তোলেন ৮২ কেজি। এরপর ক্লিন অ্যান্ড জার্কে তোলেন ১০৮ কেজি। সব মিলিয়ে ১৯০ কেজি ওজন তুলে রেকর্ড গড়ে সোনা জিতলেন মাবিয়া।
বাগেরহাট থেকে মুঠোফোনে উচ্ছ্বসিত মাবিয়া সকাল সন্ধ্যাকে বলছিলেন, “আমার কোনো ট্রেনিং কোচ নেই। আমি একা একা ট্রেনিং করি। কেউ আসতে চায় না আমাকে কোচিং দিতে। তবে যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও ভালো করেছি। এমন পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি।”
আক্ষেপের সুরে বলছিলেন, “বাতিলের খাতায় ছিলাম এতদিন। কিন্তু এটা আমার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। সামনে কোনও গেমস আছে কিনা জানি না। কোনও এন্ট্রি দেখিনি। শুধু নিজের সেরাটা করার জন্যই এখানে খেলেছি।”
গত কয়েক বছর ধরে নিজের ওজন শ্রেণীতে সেরা মাবিয়া। কেন নতুন মুখ উঠে আসছে না? প্রশ্নটি করতেই তিনি উত্তর দিলেন, “আমার বাবা মা ও সবার দোয়া। আমি যেভাবে মন দিয়ে খেলি সেটা হয়তো অনেকে খেলে না। তবে নতুন মুখ উঠে আসবে। আমি এখনও খেলতে চাই অনেক দিন।”
এশিয়ান ও কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিততে হলে ২০০ কেজির ওপরে ওজন তোলার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন তিনি,“ ইনশাল্লাহ চেষ্টায় আছি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওজন তোলা স্কোরার হবো। সেই লক্ষ্যে দৌড়াচ্ছি। যে রেকর্ড গড়ে যেতে চাই সেটা যেন বাংলাদেশের কেউ ভাঙতে না পারে।”