মাদারীপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এমারাত সরদার (৪০) নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
এমারত মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক ছিলেন। গত সোমবার (৮ জানুয়ারি) এই প্রার্থীর বিজয় মিছিলে বোমা হামলায় আহত হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকার প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রাইম হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.গোলাম মোস্তফা বলেন, “রোগীকে বাঁচানোর সব ধরনের চেষ্টাই করা হয়েছে। কিন্তু তার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর ছিল।”
এমারত সরদারে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম।
তিনি বলেন, “ভোটে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই নৌকার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাংচুর করছে। সমর্থকরা বিজয় মিছিল করতেই পারে। তাই বলে সেই মিছিলে বোমা মারতে হবে? যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
দ্বাদশ ভোটে মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ। তাকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়াই করা তাহমিনা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে তাহমিনা বেগমের সমর্থক আলিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারের নেতৃত্বে একটি বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কালিগঞ্জ বাজার থেকে ফাঁসিয়াতলা বাজারের দিকে যাওয়ার পথে সেখানে হঠাৎ করেই বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে। এমারত সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জেলা সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এমারতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম সরকারের কাছে তার স্বামী হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
নিহতের ভাই এমদাদ সরদার জানান, বোমার আঘাতে এমারতের শরীর এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা।