‘এক দো তিন’, ‘চোলি কে পিছে কেয়া হ্যায়’ অথবা ‘ধক ধক কার্নে লাগা’ গানে নেচে ঝড় তুলে ফেলা নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত বিয়ের পর সব ছেড়ে থিতু হন বিদেশেই।
পেশায় কার্ডিওভাস্কুলার সার্জন শ্রীরাম নেনে এবং বলিউড তারকা মাধুরী দীক্ষিতের সংসার শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। এরপর স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত জীবনেই মনোযোগী থেকেছেন মাধুরী।
বলিউডে আবারও তাকে দেখা যায় ২০১১ সাল থেকে। এরমধ্যে ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন, রিয়েলিটি শোয়ে বিচারক হয়েছেন।
এবার ‘ভুল ভুলাইয়া’ সিরিজের তৃতীয় পর্বেও দেখা গেছে এই নায়িকাকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাধুরী বলেছেন, সংসার সামলাতে গিয়ে হলিউড থেকে আসা প্রস্তাবও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
“দুয়েকটা সুযোগ এসেছিল আমার হাতে। কিন্তু আমার দ্বিতীয় সন্তান তখন গর্ভে। গর্ভাবস্থায় কোনো কাজ করতে চাইনি আমি। ফলে না বলা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না আমার।”
যদিও ওই সময় ঐশ্বরিয়া রায়, ইরফান খান, অনিল কাপুরকেও হলিউডের পর্দা দেখা গেছে। কিন্তু মাধুরী সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গেছেন হলিউডের ডাক।
তিনি বলেন, “আমি সংসার নিয়ে পুরোপুরি জড়িয়ে ছিলাম। এটাই আমার স্বপ্ন ছিল।
“আমি নিজেও আসলে হলিউডে কাজ করার কথা সেভাবে ভাবিনি। আমি যেভাবে ছিলাম তাতেই আমার আনন্দ ছিল। আর ভারতীয় সিনেমা তো বিশ্বের সবখানেই দেখা হয়।”
মাধুরী ও তার স্বামী এখন ভারতে ফিরে এলেও দুই সন্তান অরিন ও রায়ান আমেরিকাতেই পড়ালেখা করছে।
দুই ছেলে এমনিতে মায়ের সিনেমা দেখে অভ্যস্ত নয়, এমন কথা মাধুরী অনেকবারেই বলেছেন।
তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে বলে জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন।
আমেরিকায় হলে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ দেখেছে অরিন ও রায়ান।
“আমার ছেলেরা পরে আমাকে ফোন করে বলেছে, ওরা সিনেমা দেখে দারুণ মজা পেয়েছে। ওরা আমার ভূত চরিত্রটিও খুব পছন্দ করেছে। আমার তো মনে হল আমি আমার কাজের স্বীকৃতি পেয়ে গেছি।”
তবে মা মাধুরী কখনও সন্তানদের নিজের সিনেমা দেখতে চাপাচাপি করেন না। বরং তিনি চান সন্তানরা আগ্রহী হলে নিজেই খুঁজে দেখুক।
মাঝে মাঝে কোনো ভিডিও বা সিনেমার দৃশ্য নজরে এলে সন্তানরা অবশ্য মাকে জিজ্ঞেসও করে, “এই কাজ তুমি কবে করেছো?”
২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘পুকার’ সিনেমা। এতে প্রভু দেবার সঙ্গে ‘কে সেরা সেরা’ গানে তুমুল নেচেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত।
সেই নাচের ভিডিও নাকি হালে দেখেছে এই নায়িকার দুই ছেলে। আর তারা এই নাচ দেখে প্রশংসা করে মা মাধুরী দীক্ষিতকে ‘কুল’ বলেছে।