পিটার বাটলার নিঃসন্দেহে নারী ফুটবল দলের জন্য সফল একজন কোচ। মাত্র কয়েক মাস দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশ দলকে সাফে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। কিন্তু নেপালে সাফ চলাকালে এই কোচকে মোটেও ভালোভাবে গ্রহণ করেননি দলের সিনিয়র ফুটবলাররা।
রীতিমতো কোচের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন সাবিনা, সানজিদারা। তাদের পছন্দের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। যদিও সাফ চ্যাম্পিয়ন করার পর বাটলার বলেছিলেন, তিনি আর নারী দলের দায়িত্বে থাকবেন না।
কিন্তু বাফুফের আগের কমিটির নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বাটলারকেই দেখতে চান সাবিনাদের কোচ হিসেবে।
এএফসি সভা শেষে রবিবার বাফুফেতে এসেছিলেন নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ। গত দুই মেয়াদে তিনি ছিলেন নারী কমিটির প্রধান। নবনির্বাচিত কমিটির এখনও কমিটি বন্টন হয়নি। এরপরও নারী ফুটবল নিয়ে তার ভাবনার কথা জানিয়েছেন আজ, “পিটার বাটলারকে নারী ফুটবল দলের সঙ্গে রাখার চেষ্টা থাকবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আসা ভালো কোচদের মধ্যে তিনি একজন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।”
পিটার বাটলার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওয়েস্ট হামের হয়ে খেলেছেন। কোচ হিসেবে লাইবেরিয়া ও আরও কয়েকটি দেশে জাতীয় দল এবং শীর্ষ ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। তার যোগ্যতা-সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই কারোর।
সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী দলের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তার। বিশেষ করে সিনিয়র ফুটবলারদের সাথে সম্পর্কের ঘাটতি পড়েছে। এ নিয়ে কিরণ বলেন, “বাটলার চেয়েছিল জুনিয়ররা ভালো করছে, তাদের খেলাতে। সিনিয়ররা খেলতে চেয়েছে। এ নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব হয়েছিল। আমি সেই সময় কথা বলেছি দুই পক্ষের সঙ্গেই। এটা খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কিছু নেই।”
তিনি কি আবার পুরনো পদে থাকবেন? এমন প্রশ্নে কিরণ বলেন, “কমিটি যদি আমাকে যোগ্য মনে করে তাহলে এই পদে রাখতে পারে। আর যদি অন্য কাউকে আমার চেয়ে বেশি যোগ্যভাবে তাহলে দিতে পারবে। এতে আমার কোনও সমস্যা নেই।”
মাহফুজা আক্তার কিরণ বাংলাদেশ নারী দলের সাফল্যকে মিরাকল মনে করছেন। তার যুক্তি, “বাংলাদেশের ফুটবল অবকাঠামো নেই। খেলা-অনুশীলনের মাঠ নেই। এর মধ্যে সাফল্য আসছে, মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এটি মিরাকল। ফুটবল উন্নয়নের জন্য সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।”