দলের সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ। অনেকের চোখে হয়তো-বা গম্ভীর। কিন্তু ব্যাপারটা উল্টো। অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি চনমনে আর খুঁনসুঁটি করেন ৩৮ বছরের মাহমুদউল্লাহ।
আজ (শুক্রবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও এর ব্যতিক্রম হল না। বেশ কিছুদিন ধরে ‘বুঝছনিও ভাই বুঝছনি’’-গানের এই ছোট্ট কলিতে সতীর্থদের সঙ্গে দুষ্টুমিতে মাতেন মাহমুদ। ব্যাট পড়ে নেটে যাওয়ার আগে সিলেটেও গাইছিলেন সেই গানের লাইনটা। আর হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছিলেন সতীর্থরা।
সে সময় ওয়ানডে দলের মেহেদী হাসান মিরাজ জানতে চান, ‘‘ভাই, আপনার দেখা সেরা বিপিএল কোনটা।’’
মাঠের পাশে থাকা সাংবাদিকরা শুনছিলেন সবই। মাহমুদ নিজের মত জানিয়ে বলেন, ‘‘২০১৬, ২০১৭ আর ২০১৮ সালের বিপিএল ছিল সেরা। দারুণ সব খেলোয়াড় এসেছিল তখন। জমজমাট সব ম্যাচ।’’
এরপর নেটে চলে যান মাহমুদউল্লাহ। সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যেই সামলাচ্ছিলেন নেট বোলারদের।
মূল পিচের কাছে তখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম দুই ম্যাচ হয়েছে ফ্লাডলাইটে। আগামীকাল (শনিবার) শেষ ম্যাচটা রাখা হয়েছে দুপুর তিনটায়। কারণ বিশ্বকাপেও দিনের আলোয় ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। ভিন্ন কন্ডিশনে প্রথম দুই ম্যাচের পরিকল্পনা ও একাদশ পরিবর্তন হবে কিনা-এ নিয়েই হয়ত আলোচনা।
তাতে ঘড়ির কাঁটায় পেরিয়ে যায় ২৫ মিনিটের বেশি! আলোচনা শেষে শান্ত চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর মাঠে ছাড়েন হাথুরুসিংহেও।
সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে জানালেন, ‘‘আমরা সিরিজটা জেতার মতো অবস্থানে আছি। লক্ষ্য হচ্ছে শেষ ম্যাচটা জেতা। যেহেতু দিনে খেলা, আমাদের বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে ম্যাচটা জেতার ভালো সুযোগ থাকবে।’’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেনি বাংলাদেশ। আগামীকালের ম্যাচটা জিতলে দূর হবে সেই আক্ষেপও। হাথুরুও চান সেটা, ‘‘আমরা ইতিহাসটা বদলানোর দ্বারপ্রান্তে আছি।’’