বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। সাত ম্যাচে মাত্র ১৫.৮৩ গড়ে করেছিলেন ৯৫ রান। স্ট্রাইক রেট ৯৪.০৫। আফগানিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে যেখানে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার কথা সেখানে টানা পাঁচ ডট খেলে আউট হন ৯ বলে ৬ করে!
তখনই অনেকে শেষ দেখে ফেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহর। তবে বাদ পড়েননি মাহমুদউল্লাহ। ভারত সফরের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে আছেন তিনি। আর সিরিজ শুরুর আগে মাহমুদউল্লার অবসর নিয়ে কথা বলতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে।
সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে শান্ত বলেছিলেন, ‘‘রিয়াদ ভাইয়ের জন্য এই সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়ত উনি নির্বাচকদের সঙ্গে কথাও বলবেন (অবসর নিয়ে)। তো এ বিষয়ে আমি খুব একটা পরিষ্কার না। কিন্তু আমার মনে হয় যে, নির্বাচক ও বোর্ডের সঙ্গে একটা আলোচনা তো হবেই।’’
শান্ত একপ্রকার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন সেদিনই। বোর্ডের একটি সূত্র সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছে, ভারত সফরে যাওয়ার আগেই বিসিবিকে মাহমুদউল্লাহ নিশ্চিত করেছেন এটাই তার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গুঞ্জন ছড়িয়েছে আজই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বিদায়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারেন ৩৯ বছর ছুঁই ছুঁই এই তারকা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে মাহমুদউল্লাহর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের গুঞ্জন। অনেকে শুভকামনাও জানিয়েছেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ খ্যাত সাবেক এই অধিনায়ককে।
সেক্ষেত্রে ১২ অক্টোবর সিরিজের শেষ ম্যাচ হায়দরাবাদে হবে মাহমুদউল্লাহর শেষ টি-টোয়েন্টি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে অবসর নিতে না পারার আক্ষেপ পুরোনো। গুঞ্জন সত্যি হলে মাঠ থেকে অবসরের সুযোগ পাবেন ১৩৯ টি-টোয়েন্টিতে ২৩৯৫ রান করার পাশাপাশি ৪০ উইকেট নেওয়া এই তারকার।
মাহমুদউল্লাহর অবসরের গুঞ্জন থাকায় বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কদিন আগে মিরপুরে বলেছিলেন, ‘‘অবাক হব না এই সিরিজে কোন একটা ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ভালো একটা ইনিংস খেলে যদি বাংলাদেশ জয় পায় আর এরপর সে বলে আমি টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যাব-এতে আমি অবাক হব না।’’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মায়াঙ্ক যাদবের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১ রানেই আউট হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এই ফরম্যাট থেকে বিদায়টা নিশ্চিতভাবে ভালো একটা ইনিংস খেলেই করতে চাইবেন তিনি।
এখন দেখার ২০০৭ সালে নাইরোবিতে শুরু হওয়া ক্যারিয়ারটা হায়দরাবাদে শেষ হয় কিনা?