Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ মিসে ভয়ে ছিল লঙ্কানরা

জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ-জাকের আলী।
জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ-জাকের আলী।
[publishpress_authors_box]
সিলেট থেকে
সিলেট থেকে

লক্ষ্য ২০৭ রান। রীতিমতো পাহাড় পাড়ি দেওয়া ব্যাপার। সেই রান পাহাড়ে চাপা পড়ে ৩০ রানে নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। ম্যাচটা তখন আনুষ্ঠানিকতা হয়ে ওঠার কথা। শ্রীলঙ্কা কত রানে জিততে চলেছে অপেক্ষা হওয়ার কথা সেটার।

হতে চলেছিল উল্টোটা। বাংলাদেশ আশা জাগিয়েছিল জয়ের। এর অন্যতম কারিগর মাহমুদউল্লাহ। যিনি কিনা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে ছিলেন টি-টোয়েন্টি জাতীয় দলের বাইরে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে মাহমুদের বীরেত্বে হেরেছিল লঙ্কানরা। সেই ম্যাচে  ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরাদের একটি।

মাহমুদউল্লাহ তাণ্ডব শুরু করেছিলেন কাল (সোমবার) সিলেটেও। ২৭ বলে করেন ফিফটি। তবে শেষ পর্যন্ত থামেন ৫৪তে। মাহমুদের বিস্ফোরক ইনিংসটির সময় ভয়েই ছিলেন লঙ্কানরা। বিশেষ করে সাদিরা সামারাবিক্রমা। তিনিই মাহমুদের ক্যাচ ফেলেছিলেন ২৭ রানে।

সংবাদ সম্মেলনে সাদিরা জানালেন, ‘‘প্রথমত আমি যখন মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ছেড়ে দিলাম আমার মনে হয়েছিল ম্যাচ আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। পরে মাহিশ (থিকসানা) উইকেট নিয়ে নিল মাহমুদউল্লাহর । সেটাই টার্নিং পয়েন্ট ছিল মনে হয়। আমাদের বোলাররা বেশ ভালো বোলিং করেছে চাপের মধ্যে। মাহিশ থিকশানা দারুণ বোলিং করেছে। শেষ ওভারে দাসুন শানাকা দুর্দান্ত করেছে। এর ফলেই ম্যাচ ঘুরে গেছে (আমাদের দিকে)।’’

মাহমুদউল্লাহ স্বাভাবিক খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তরুণ জাকের আলীকে। দুজনের পঞ্চম উইকেটে ৪৭ রানের জুটিতে ম্যাচ ঘুরে গিয়েছিল বাংলাদেশের দিকে। এ নিয়ে জাকের আলীও প্রশংসা করেছেন মাহমুদের,‘‘ যখন ব্যাটিংয়ে যাই, মাহমুদউল্লাহ ভাই ছিলেন। তিনি আমাকে স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে বলেছিলেন। সচরাচর যেভাবে ব্যাটিং করি সেটাই করতে চেষ্টা করছিলাম। অতিরিক্ত কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মাহমুদউল্লাহ ভাই যখন ঝুঁকি নিচ্ছিলেন তখন আমার পরিকল্পনা ছিল ওভারে ১০-১২ রান নেওয়া। তিনি আউট হওয়ার পর আমি গিয়ার বদল করি।’’

ম্যাচ সেরা হয়েছেন চারিথ আসালঙ্কা।

এর কৃতিত্বটা বোলারদেরই দিলেন সাদিরা, ‘‘তখন বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা বেসিক জিনিসগুলো ঠিকভাবে করার চেষ্টা করছিলাম। কারণ মাঠে অনেক শিশির ছিল। আমাদের বোলিং ইউনিট হিসেবে একদম ঠিকঠাক হতে হত। এটাই প্ল্যান ছিল।’’

বোলারদের কৃতিত্ব দিলেও সাদিরা মনে করেন তাদের জিতিয়েছেন ব্যাটাররাই, ‘‘প্রথমত দল হিসেবে আমরা এখানে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে। এখানে আমার মনে হয় বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। আমাদের ব্যাটাররা ভালো শুরু পেয়ে পরে বড় ইনিংস গড়েছে। আমি মনে করি এখানে ব্যাটিংই ছিল এক্স ফ্যাক্টর।’’

দলের সব ব্যাটারের প্রশংসা ঝড়ল তার কণ্ঠে, ‘‘শুরুতে কুশল মেন্ডিস এবং কামিন্দু আমাদের ভালো শুরু এনে দিল। পরে আমি কুশলের সঙ্গে চালিয়ে যেতে থাকলাম। পরে চারিথ আসালঙ্কা এসে তাণ্ডব শুরু করল। আমার মনে হয় ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো পারফর্ম্যান্স করেছি। আমি দারুণ খুশি।’’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত