Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

শেখ হাসিনা-ইনুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা মাহমুদুর রহমানের

কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমান।
কুষ্টিয়ায় মাহমুদুর রহমান।
[publishpress_authors_box]

অর্ধ যুগ আগে কুষ্টিয়ায় আদালত প্রাঙ্গনে হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এ মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তি আইনি কার্যক্রম চলমান আছে।

এর আগে মাহমুদুর রহমান তার আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে মডেল থানায় আসেন। সেখানে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদুর রহমান মামলার এজাহার দায়েরের পর থানা থেকে বের হয়ে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “৬ বছর আগে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার ওপর নৃশংস হামলা হয়েছিল। সেই হামলা করার নির্দেশ দিয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাসদ সভাপতি ও তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বারষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও তৎকালীন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি।

“এছাড়া ছাত্রলীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ছাড়াও আরও নেতারা জড়িত ছিল। ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অনেকেই আসামি আছে। আমি ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় মামলা করেছি। পুলিশ পরবর্তি ব্যবস্থা নেবে।”

শেখ হাসিনাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও করেন তিনি।

এরপর কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন মাহমুদুর রহমান।

সেখান থেকে বেরিয়ে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বুয়েটের ছাত্র নিহত আবরার ফাহাদের বাসায় যান। আবরার ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত হন।

২০১৮ সালের ২২ জুলাই একটি মানহানি মামলায় জামিন নিয়ে বের হওয়ার পথে কুষ্টিয়ায় আলাদত প্রঙ্গনে মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা হয়।

অভিযোগ আছে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ওই হামলার সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও নিরব ছিল। ওই হামলায় গুরুতর জখম হন মাহমুদুর রহমান। ইট দিয়ে মেরে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।

ওই হামলার অভিযোগে শেখ হাসিনা, ইনুসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান।

ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তুরস্ক থেকে দেশে ফেরেন প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান।

তিনি ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। পরে তিনি আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক হয়ে আওয়ামী লীগের বিরোধিতায় সরব হন।

যুদ্ধাপরাধের বিচারে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর সেই বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাহমুদুর। আদালত অবমাননার জন্য তখন তাকে শাস্তিও পেতে হয়েছিল।

আরও অনেক মামলার মুখে এক পর্যায়ে দেশ ছাড়েন মাহমুদুর। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুন এবং বিএনপি জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

সেই মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার আদালত মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। দণ্ডিতদের মধ্যে যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানও ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্প্রতি তিনিও দেশে ফেরেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত