৪-০ গোলের বড় জয়। এর চেয়ে ভালো শুরু আর কী হতে পারতো ম্যানচেস্টার সিটির জন্য! উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাস জোগানোর মতো জ্বালানি পেয়ে যায় পেপ গার্দিওলার দল। তবে মৌসুমের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষায় সেই আত্মবিশ্বাস কোনও কাজেই এলো না। উল্টো টটেনহামের সামনে অগোছালো ও পরিকল্পনাহীন ফুটবল খেলে সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিল। বিপরীতে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে শিরোপাপ্রত্যাশীদের কড়া বার্তা পাঠিয়ে রাখল স্পার্স।
শনিবার (২৩ আগস্ট) ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যান সিটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ম্যান সিটির ঘরের মাঠ জয় করে ফিরল উত্তর লন্ডনের ক্লাবটি। গত মৌসুমে ইত্তিহাদে স্বাগতিকদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল তারা। এবার গোলসংখ্যা অত না হলেও পারফরম্যান্সের মাপকাঠিতে ম্যান সিটিকে ‘বোতলবন্দি’ করে রেখেছিল থমাস ফ্রাঙ্কের দল।
চলতি গ্রীষ্মেই টটেনহামের দায়িত্ব নিয়েছেন এই ডেনিশ। উয়েফা সুপার কাপে প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের বিপক্ষে জানান দিয়েছেন, চলতি মৌসুমে অন্য এক টটেনহামকে দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। ২ গোলে এগিয়ে থেকেও সুপার কাপ যদিও জেতা হয়নি তাদের। তবে পারফরম্যান্সে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিল দলটি।
প্রিমিয়ার লিগেও মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে ফ্রাঙ্কের দল। ঘরের মাঠে বার্নলিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শুরু করেছিল মৌসুম। দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যান সিটিকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে দিয়েছে ২-০ গোলে। মৌসুম কেবল শুরু হলো, তবে টটেনহাম এরই মধ্যে শিরোপার অঙ্কে ঢুকে গিয়েছে।
কারণটা তাদের মাঠের পারফরম্যান্স। টটেনহামের ফুটবলে বোঝার উপায় ছিল না, এটা ম্যান সিটির মাঠ। প্রেসিং ফুটবলে ম্যান সিটিকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেয়নি তারা। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ তৈরি করার প্রত্যেকটি পয়েন্ট ব্লক করে রেখেছে। বল দ্রুত রিকোভার করার চেষ্টা করেছে। গার্দিওলার দল তাই বারবার বল হারিয়েছে। আক্রমণ উঠতে গিয়ে শুরুতেই বাধার মুখে পড়েছে।
অন্যদিকে টটেনহাম দ্রুত কাউন্টারে গিয়ে ভয় ছড়িয়েছে ম্যান সিটির রক্ষণে। সেরকমই এক আক্রমণ থেকে ৩৫ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। রিচার্লিসনের ক্রস থেকে বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রেনান জনসন। যদিও অফসাইডের কারণে প্রথমে গোলটি বাতিল হয়। পরে ভিএআরে লিড পায় টটেনহাম।
বিরতিতে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় স্পার্স। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে গোল করেন জোয়াও পালিনহা। ম্যান সিটি গোলকিপার ট্র্যাফোর্ডের ভুলে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগান এই পর্তুগিজ।



