গোটা ম্যাচজুড়ে ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকরা গলা মিলিয়ে গাইলেন কেভিন ডি ব্রুইনার নাম। এই বেলজিয়াম সুপারস্টারের জাদুতেই অনেকদিন পর হাসল সিটিজেনরা। নিজে এক গোল করলেন, আরেকটি করালেন। তাতে ৭ ম্যাচ পর জয়ের দেখা মিলল ম্যান সিটির। প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের দিনে ড্র করেছে লিভারপুল।
প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হারের পর জিতল ম্যান সিটি। ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে নটিংহামকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা। অন্যদিকে নিউক্যাসলের মাঠ থেকে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। পয়েন্ট হারালেও ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে অলরেডস। সমান ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ম্যান সিটি।
ইত্তিহাদ স্টেডিয়াম আলোকিত হলো ডি ব্রুইনার ঝলকে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকার কথা নয়। তবে চোট তার সেরাটা দেওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রায় দুই মাস পর নটিংহাম ম্যাচ দিয়ে প্রথমবার নেমেছিলেন শুরুর একাদশে। আর নেমেই করলেন বাজিমাত। ডি ব্রুইনার সঙ্গে স্কোরশিটে নাম তুলেছেন বের্নার্দো সিলভা ও জেরেমি ডকু।
পেটের চোটে গত ১৮ সেপ্টেম্বরের পর একাদশে থাকার সুযোগ হয়নি ডি ব্রুইনার। একাদশে ফিরে অষ্টম মিনিটেই তার কার্যকারিতার প্রমাণ রাখেন। বেলজিয়াম মিডফিল্ডারের হেড থেকে ম্যান সিটিকে এগিয়ে নেন সিলভা। এরপর ৩১ মিনিটে নিজেই স্কোরশিটে নাম তোলেন ডি ব্রুইনা। আর ৫৭ মিনিটে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয় নিশ্চিত করেন ডকু।
শোনা যাচ্ছিল, গার্দিওলা ও ডি ব্রুইনার মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তবে ৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে তার প্রশংসাও ঝরেছে গার্দিওলার কণ্ঠে, “কেভিন ডি ব্রুইনা অসাধারণ, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। ফিট থাকা অবস্থায় সে আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। সেটা জার্মানি থেকে (ম্যান সিটি) আসার সেইসময় থেকে।”
প্রিমিয়ার লিগে টানা ৪ হার ও সব মিলিয়ে টানা ৭ ম্যাচ পর জয় পেয়েছে ম্যান সিটি। আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকা দলটির জন্য এই জয় ভীষণ দরকার ছিল বলে মনে করছেন গার্দিওলা, “টানা কয়েকটি ম্যাচ জিততে না পারার পর অবশ্যই এটা (জয়) দরকার ছিল।”
ম্যান সিটি হারিয়েছে নটিংহাম ফরেস্টকে। এই নটিংহামের কাছেই এবারের প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র হার লিভারপুলের। চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা অলরেডরা ড্র করেছে নিউক্যাসলের সঙ্গে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহ জোড়া গোল করেও জেতাতে পারেননি লিভারপুলকে।
ঘরের মাঠে ৩৫ মিনিটে নিউক্যাসল এগিয়ে যায় আলেক্সান্দার ইসাকের গোলে। ৫০ মিনিটে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান কার্টিস জোন্স। ৬২ মিনিটে আবারও নিউক্যাসল লিড নেয় আন্থনি গর্ডন জাল খুঁজে নিলে। তবে মিনিট ছয়েক পর লিভারপুল সমতায় ফেরে সালাহর গোলে।
এরপর ৮৩ মিনিটে সালাহ দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে নিলে প্রথমবার ম্যাচে লিড নেয় লিভারপুল। তবে ৯০ মিনিটে ফাবিয়ান শারের গোলে ৩-৩ গোলের ড্রয়ে শেষ হয় সেন্ট জেমস পার্কের ম্যাচ।