আক্রমণের ঢেউ তুলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কোপেনহেগেনের মাঠে শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে করে রেখেছিল কোণঠাসা। ম্যাচের পরিসংখ্যানও সে কথা বলছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটের প্রথম লেগে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ম্যানসিটির বলের দখল ছিল ৭৯ শতাংশ। তারা পোস্টে শট নিয়েছে ২৭টি! লক্ষ্যে ছিল এর ১৩টি। তবে শেষ পর্যন্ত জিতেছে ৩-১ গোলে।
এ নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা সাত ম্যাচে ৩টি বা এর বেশি গোল করল ম্যানসিটি, যা চ্যাম্পিয়নস লিগের রেকর্ড। ম্যানসিটি ছাড়া আর কোন দল টানা সাত ম্যাচে করতে পারেনি তিন বা বেশি গোল। এই টুর্নামেন্টে ম্যানসিটি সর্বশেষ হেরেছে ৬৫০ দিন আগে!
7 – Manchester City are the first team in UEFA Champions League history to score 3+ goals in seven consecutive matches. Holders. pic.twitter.com/yGI9QVHnWm
— OptaJoe (@OptaJoe) February 13, 2024
এর নায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। নিজে এক গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে দুটি গোল করিয়েছিলেন এই বেলজিয়ান। ডি ব্রুইনা চোট কাটিয়ে ফেরার পর ৭ ম্যাচের ৭টিই জিতেছে ম্যানসিটি। তারা করেছে ২০ গোল। এর ২টি ব্রুইনার আর অ্যাসিস্ট করেছেন ৭টি।
তারপরও খুশি নন ব্রুইনা, ‘‘বিরতির পর অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল আমাদের। সৌভাগ্যক্রমে তৃতীয় গোলটা পেয়েছি ইনজুরি টাইমে।’’
দশম মিনিটে ফিল ফোডেনের অ্যাসিস্টে প্রথম গোলটি ব্রুইনার। গোলরক্ষক এদেরসনের ভুলে ৩৪ মিনিটে এক গোল হজম করে ম্যানসিটি। এদেরসন বল তুলে দিয়েছিলেন কোপেনহেগেনের মোহাম্মদ এলইউনুসির পায়ে। তার শট ম্যানসিটির রক্ষণে বাঁধা পেলেও ম্যাগনাস ম্যাটসনের শট জড়ায় জালে।
বিরতির আগেই এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্টে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বের্নার্দো সিলভা।
৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন ফিল ফোডেন। নকআউটের প্রথম লেগে জয়ের পর পেপ গার্দিওলার সন্তুষ্টি, ‘‘আমি গর্বিত। এভাবেই শুরু করতে চেয়েছিলাম। প্রতিপক্ষের মাঠে না হারাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছেলেরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে। আশা করছি পরের লেগে বাকি কাজ শেষ করতে পারব আমরা।’’
ম্যানসিটির ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে ৬ মার্চ।