Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

পাগলাটে রাতে ৯ গোলের রোমাঞ্চ জিতে সেমিতে ইউনাইটেড

tt
[publishpress_authors_box]

ম্যাচের আগে উৎসব হল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। প্রথমবার ঘরের মাঠে তিফো উন্মোচন করে ঐতিহ্যবাহী দলটি। সেই উৎসব ভেস্তে যেতে বসেছিল বেদনায়। ইউরোপা কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অলিম্পিক লিঁওর বিপক্ষে একটা সময় ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও স্বাগতিকরা পিছিয়ে পড়েছিল ৪-২ গোলে, তাও ১০ জনের দলের বিপক্ষে।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সমর্থকরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না, কী ঘটছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। একটা সময় ‘ফার্গি টাইমে’ অবিশ্বাস্য সব ম্যাচ জিতেছে তারা। সেই ফার্গি টাইম ফিরল আবারও। বৃহস্পতিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের অতিরিক্ত সময়ের শেষ ৭ মিনিটে ৩ গোল আদায় করে তারা জিতল ৫-৪ ব্যবধানে।

পাগলাটে রাতে ৯ গোলের রোমাঞ্চ জিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছিলেন গ্যালারির দর্শকরাও। এ ধরনের নাটকীয় কিছু বহুদিন দেখেননি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দর্শকরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ অগ্রগামিতায় ইউরোপার সেমিফাইনালেও পৌঁছেছে ইউনাইটেড। গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের নতুন প্রজন্মকে এভাবে লড়াই করতে দেখে গর্বই করার কথা স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের।

এছাড়া ইউরোপার সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে টটেনহাম ও অ্যাথলেতিক ক্লাব। দ্বিতীয় লেগে টটেনহাম ১-০ গোলে হারায় ফ্রাঙ্কফুর্টকে, তাদের অগ্রগামিতা ২-১। অপর ম্যাচে অ্যাথলেতিক ২-০ গোলে হারায় রেঞ্জার্সকে। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের অগ্রগামিতা ২-০।

ওল্ড ট্র্র্যাফোর্ডে মানুয়েল উগারতের ১০ম মিনিটে ও বিরতির ঠিক আগে ডিয়েগো দালোতের গোলে ২-০’তে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। ৭০ মিনিট পর্যন্ত তারা ধরে রাখে ব্যবধানটা। করেনতিন তোলিসো ৭১তম মিনিটে আর নিকোলাস তাগলিয়াফিকো ৭৭ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান ম্যাচে। ৮৯তম মিনিটে তোলিসো লাল কার্ড দেখলে ১০ জনে পরিণত হয়েছিল লিঁও।

 দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ সমতা থাকায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে লিঁও ১০ জন নিয়ে খেলায় ফেভারিট ছিল ইউনাইটেডই। অথচ উল্টো ১০৪তম মিনিটে রায়ান চেকির গোল ৩-২’এ এগিয়ে যায় ফ্রান্সের ক্লাবটি। ইউনাইটেডকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়ে ১০৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান ৪-২ করেন আলেকজান্দার লাকাজাত্তে।

ইউনাইটেডের দর্শকদের একটা অংশ তখন মাঠ ছাড়তে শুরু করেছিলেন। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৭ মিনিটে ৩ গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা।

১১৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস। থিয়াগো আলমাদা বক্সে ফাউল করলে ভিএআরে পেনাল্টি পেয়েছিল  ইউনাইটেড।

১২০তম মিনিটে কাসেমিরোর পাসে ৪-৪ সমতা ফেরান কোবি মাইনু। দর্শকরা তখন গর্জনই তোলেন গ্যালারিতে।

এর পরের মিনিটে তাদের রীতিমতো আত্মহারা হওয়ার দশা। কাসেমিরোর পাসেই করা হ্যারি মাগুয়ারের হেড জড়ায় জালে। রূপকথার জন্ম দিয়ে ৫-৪ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নেয় ইউনাইটেড।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত