ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ফেনারবাচের ম্যাচ। ফুটবল বিশ্বের খুব বেশি কি কৌতূহল থাকার কথা? গত একযুগ ইউনাইটেডের সময় খারাপ গেলেও ইতিহাস-ঐতিহ্যে দলটির অবস্থান সবসময়ই ওপরে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ফুটবলে ফেনারবাচের সেরকম জায়গা না থাকলেও তুরস্কের অন্যতম সফল ক্লাব তারা। এই দল দুটির লড়াইয়ে উত্তাপ যোগ করেছেন আসলে একজন কোচ। তিনি জোসে মরিনহো।
ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সফল কোচ একসময় সামলেছেন ইউনাইটেডের দায়িত্ব। এখন তিনি ফেনারবাচের কোচ। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে বর্তমান দলকে কী এনে দিতে পারেন, সেটিই ছিল দেখার। পর্তুগিজ কোচ আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি ‘স্পেশাল ওয়ান’। ইউরোপা লিগে ইংলিশ ক্লাবকে আটকে দিয়েছে ফেনারবাচে। ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে টারকিশ ক্লাবটি।
১৫ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। তবে ৪৯ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ইউসেফ এন-নেসিরি। এরপর আর গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে দল দুটি।
ইউনাইটেডকে আটকে দিলেও ম্যাচটি ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে পুরোটা দেখতে পারেননি মরিনহো। লাল কার্ড দেখেন তিনি। রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ায় ক্ষোভে ঝেরেছিলেন। সেকারণে লাল কার্ড দেখেন মরিনহো। তবে রেফারির পেনাল্টি না দেওয়া ও লাল কার্ড দেখানো- কোনও সিদ্ধান্তই মানতে পারছেন না পর্তুগিজ কোচ।
ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মরিনহো, “তিনি (রেফারি) আমাদের দুর্দান্ত কিছু বলেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, একই সময়ে তিনি বক্সের ভেতর কী হচ্ছে সেটা যেমন দেখতে পারেন, তেমনি টাচলাইনে আমি কেমন আচরণ করছি সেটাও দেখতে পারেন। এটা আসলে অবিশ্বাস্য প্রতিভা।”
রেফারির সমালোচনা করে মরিনহো আরও বলেছেন, “আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। তার চোখের শক্তি অবিশ্বাস্য। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে চলা একটা ম্যাচে একই সময়ে তিনি পেনাল্টি হয়েছে কিনা দেখতে পান, আবার বেঞ্চেও নজর রাখতে পারেন যে আমি কী করছি। এ কারণেই তিনি বিশ্বের সেরা রেফারি।”
ম্যাচ ঘড়ির এক ঘণ্টার পূরণ হওয়ার আগেই লাল কার্ড দেখেছিলেন মরিনহো। তার ডাগআউট ছাড়ার আগেই সমতায় ফেরে ফেনারবাচে। এরপর তিনি না থাকলেও আর কোনও গোল হজম করেনি স্বাগতিকরা।