স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ক্লাব ছাড়ার পর থেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ফার্গুসন অধ্যায় শেষে আর প্রিমিয়ার লিগ জিতেনি তারা। সেই খরা কাটাতে খরচের বিশ্বরেকর্ডই করেছে ম্যানইউ।
উয়েফা ২০২৩ এর ফিন্যান্সিয়াল বছর শেষে ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় কেনার একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে সর্বোচ্চ খরচ করা ক্লাব ম্যানইউ। তারা খেলোয়াড় কিনতে ব্যয় করেছে ১.৪২ বিলিয়ন ইউরো বা ১.২১ বিলিয়ন পাউন্ড (২০২৩ সালের দল গড়তে মোট খরচ)। ২০২০ সালে রিয়াল মাদ্রিদের স্কোয়াডের ১.১৩ বিলিয়ন পাউন্ড দাম ছিল এতদিনের সর্বোচ্চ।
ম্যানইউ ৮৫.৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে কিনেছিল আন্তোনিকে, জেডন সানচোকে ৭৩ মিলিয়ন পাউন্ডে আর কাসেমিরোকে ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডে। ২০১৯ সালে হ্যারি মাগুয়েরকে কিনেছিল ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে। তবে মোট খরচে যুক্ত করা হয়নি ম্যাসন মাউন্ট, রাসমুস হইলুন্দ, আন্দ্রে ওনানাদের ট্রান্সফার ফির অঙ্কটা। তাই প্রশ্ন উঠছে এত খরচ করে ফলটা কি হয়েছে?
আন্তোনি আয়াক্স থেকে আসার পর ৪৪ ম্যাচে করেছেন কেবল ৪ গোল। সানচো ধারে ফিরে গেছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। মাগুয়েরের একাদশে জায়গা হয়ে পড়েছিল নড়বড়ে। আর কাসেমিরো লড়াই করছেন ইনজুরির সঙ্গে। তাই এত বেশি খরচ করেও প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় হয়েছিল ম্যানইউ।
ম্যানইউ ছাড়া গত বছর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি দলের দাম ছিল ম্যানসিটি, চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদের। ১.২৮৬ বিলিয়ন ইউরোর দল নিয়ে ট্রেবল জিতেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসি খরচ করেছিল ১.০৮৪ বিলিয়ন ইউরোর আর রিয়াল মাদ্রিদ ১.০৩১ বিলিয়ন ইউরো।
টড বোহেলি ক্লাব কেনার পর ১ বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করেও প্রিমিয়ার লিগে চেলসি ছিল ১২ নম্বরে। তাই টাকায় যে সবসময় সবকিছু হয় না, উয়েফার রিপোর্ট স্মরণ করিয়ে দিল আরও একবার।