দুজনই টিনএজার। শরীরে কৈশোরের গন্ধ। এফএ কাপ ফাইনালে বালক থেকে পুরুষ হয়ে উঠলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো ও কোবি মাইনু। তাদের গোলে ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলিতে ঐতিহ্যের এফএ কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে ৮ বছর পর তারা স্বাদ পেল এফএ কাপ শিরোপার।
অথচ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউ ছিল অষ্টম আর ম্যানসিটি টানা চতুর্থবারের চ্যাম্পিয়ন। টানা দ্বিতীয়বার ‘ডাবল ডাবল’ (লিগ ও এফএ কাপ) জিতে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল তাদের। কিন্তু মৌসুমের অন্যতম অঘটন ঘটিয়ে ম্যানসিটির হৃদয় ভাঙল ম্যানইউ।
এটা ম্যানইউর ১৩তম এফএ কাপ শিরোপা, যা টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা। রেকর্ড ১৪টি এফএ কাপ আর্সেনালের। ম্যানইউতে যোগ দেওয়ার দ্বিতীয় বছরে এটা দ্বিতীয় শিরোপা কোচ এরিক টেন হাগের। অথচ ম্যাচের আগে ইংলিশ মিডিয়ায় গুঞ্জন ছড়ায় ম্যানইউ ফাইনাল হারুক বা জিতুক-এ ম্যাচের পরই বরখাস্ত হবেন টেন হাগ!
পেপ গার্দিওলার দল পরিষ্কার ফেভারিট হলেও ৩০ মিনিটে এগিয়ে যায় ম্যানইউ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা একটি বল বাঁচাতে পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন ম্যানসিটির গোলরক্ষক স্টেফান ওর্তেগা। ইয়োস্কো গাভার্দিওল হেডে ব্যাক পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ওর্তেগাকে। তবে বল চলে যায় এগিয়ে আসা ওর্তেগার মাথার ওপর দিয়ে! ‘উপহার’ পেয়ে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি আর্জেন্টাইন টিনএজার গারনাচো।
৮ মিনিট পর মার্কাশ রাশফোর্ড বল জালে জড়ালেও গোল বাতিল হয় অফসাইডের জন্য। তবে ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরেক টিনএজার কোবি মাইনু। রাশফোর্ড-গারনাচো থেকে ফার্নান্দেজ হয়ে বল পেয়েছিলেন তিনি।
বিবর্ণ ম্যানসিটি বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায়। পুরো ম্যাচে পোস্টে ১৯ শট নিলেও কেবল চারটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ম্যানসিটি। আর ইউনাইটেড ১১ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি।
৮৭ মিনিটে বক্সের ওপর থেকে নেওয়া জেরেমি ডোকুর শট ম্যানইউ গোলরক্ষক ওনানার হাতে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ম্যাচে প্রাণ ফিরলেও আর সমতা ফেরাতে পারেনি ম্যানসিটি। তাই ঐতিহাসিক ‘ডাবল’ হল না তাদের।