‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যেটা যে সময় দরকার পড়ে, সেই সময় সেটা করা হয়।
রবিবার ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাট ও কাঁচা চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভা এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে বাসস।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ-মিছিল করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। অনুমোদিত খসড়াটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা। তা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
সভা শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান- “সরকারি কর্মচারী অধ্যাদেশ নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কি ভাবছেন?” জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যে আইনটা হচ্ছে এটা ২০১৮ সালে সংশোধন হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার একটা সংশোধন করে ইলেকশনটা যাতে ম্যানিপুলেট করতে পারে, ওইরকম কিছু কিছু সংশোধন করেছিল। ওই সংশোধনটা শুধু বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে আইনটি যে রকম ছিল ওটাই করা হয়েছে। তারপরও যদি তাদের কোনোরকম আপত্তি থাকে, তারা আলোচনা করতে পারেন, কেবিনেট ডিভিশন কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। আলোচনা করে সমস্যাটা সমাধান করে নেবেন।”
কেন এ সময়ে এ অধ্যাদেশ করা জরুরি-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটার ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারব না, কেন এটা দিতেছে। সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “২০১৮ সালে (আইনটা) পরিবর্তন হয়েছে। এখন আবার একটু সংশোধন হয়েছে। এটা তো সে রকম কিছু না।”
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসন্ন ঈদ-উল আযহার সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে, মানুষ যাতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।