‘বৈষম্য’ বিলোপে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, নৌ বাণিজ্য দপ্তর, চট্টগ্রাম বন্দর, মেরিন একাডেমির গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিজ্ঞ মেরিনারদের পদায়নের দাবি উঠেছে।
এই দাবিতে বুধবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালককে প্রত্যাহার করে সেই পদে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে নিয়োগের দাবিও তোলা হয় কর্মসূচি থেকে। বিএমএমওএর অভিযোগ, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার মহাপরিচালক পদ থেকে অন্যায়ভাবে পদচ্যুত করেছিল শফিকুল্লাহকে।
বুধবার প্রথমে আগ্রাবাদে বিএমএমওএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়। একই সময়ে ঢাকায় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে নৌবাহিনীর পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের আদেশের পরপরই কর্মসূচিতে নামল মেরিনাররা।
চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বিএমএমওএ সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. শাখাওয়াত হোসেন, সদস্য মেহেরুল করিম, ক্যাপ্টেন আবদুল মালেক, আতাউল্লাহ খান, আতিক উল্ল্যাহ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১২ হাজারের বেশি সদস্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত আছেন। তারা বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালককে প্রত্যাহার করে সেই পদে মাস্টার মেরিনার ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহকে নিয়োগ, এই পদে সবসময় মাস্টার মেরিনারদের নেওয়া, নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তর, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অন্য খাতের কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল করে মেরিনারদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) পদে উপযুক্ত প্রার্থীকে পদোন্নতি দেওয়া, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশালের কমান্ডেন্টকে প্রত্যাহার করে সেই পদে মেরিনারদের নিয়োগ এবং দেশের অন্য মেরিন একাডেমির কমাডেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া।
ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, “মন্ত্রণালয়ের অনীহা সত্ত্বেও নৌ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে মাস্টার মেরিনারদের বঞ্চিত করে ভিন্ন জায়গা থেকে অনুপযুক্ত লোক এনে পূরণ করার খেলায় মত্ত প্রশাসন। মেরিন প্রশাসনকে ধ্বংস করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে শিগগিরই বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিশ্বে চলতে পারবে না। এতে মেরিনারদের বিশাল অংশ বেকার হয়ে পড়বে।”
তিনি বলেন, “মেরিটাইম সেক্টর পরিচালনায় মেরিণারদের অন্তর্ভূক্ত না করে প্রশাসন পরিচালনাই হচ্ছে বৈষম্য। এটি বন্ধ করতে হবে।”