একদিন বাদেই উরুগুয়ের বিপক্ষে কঠিন ম্যাচ ব্রাজিলের। আগের ম্যাচে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ড্রয়ের পর পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের মুন্ডুপাত হচ্ছে। সমর্থকরা যেন টের পাচ্ছেন ১৮ নভেম্বর উরুগুয়ের ম্যাচে সেলেসাওদের কী হতে যাচ্ছে। তার আগেই মারকিনুস আকুতি জানিয়ে সমর্থকদের বলছেন, “জাতীয় দলকে ত্যাগ করবেন না।”
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছে চতুর্থ স্থানে। হাতে আরও অনেক ম্যাচ। হয়তো তাদের বিশ্বকাপ বাছাই আটকাবে না কিন্তু তারা মাঠে দাপটের সঙ্গে খেলতে পারছে না। সুন্দর খেলাও নেই, তাই উপভোগ্যতাও নেই ভিনিসিয়ুসদের পারফরম্যান্সে।
উরুগুয়ের আগে মারকিনুসের আহ্বান, “জাতীয় দলের জার্সি পরা একটি বিশেষ সুযোগ এবং অত্যন্ত আনন্দের মুহূর্ত। কখনও কখনও ফল আসে। এটা কঠিন সময়। কিছু ওঠানামার মুহূর্ত আছে কিন্তু আমরা মহান মর্যাদার সঙ্গে এই পথে হাঁটি। যদিও কিছু মানুষ আশাহত হচ্ছেন, আমরা চাই যে তারা কখনই জাতীয় দলের প্রতি তাদের আবেগ হারাবে না।”
মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ব্রাজিল ফুটবলের চিরকালীন সৌন্দর্য্য। সেটা উবে গেলে আর দল প্রত্যেক ম্যাচে খাবি খেলে মানুষের বিশ্বাসও টুটে যায়। এজন্য ব্রাজিল ডিফেন্ডার দলের পালাবদলের কথা বলছেন। পুরনোরা যাচ্ছেন, আসছেন নতুনরা। তিনি বলছেন, “আমরা ভুল করব, কারণ দলে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে ভুল কমানোর চেষ্টা চলছে। আমরা একসঙ্গে খুব ভালভাবে তৈরি হচ্ছি। অনেক কিছুর উন্নতি করেছি, বিশেষ করে আক্রমণাত্মক ফুটবলের জায়গায় কোপা আমেরিকায় আমাদের অসুবিধা হয়েছিল।”
কোপার পর যে পারফরম্যান্সে খুব আহামারি উন্নতি হয়েছে তা নয়। বেশিরভাগক্ষেত্রে তাদের পড়তে হয়েছে সমালোচনার মুখে। দোরিভাল জুনিয়রের অধীনে ব্রাজিলের খেলার গতি, কৌশল নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ব্রাজিল ডিফেন্ডার বিভিন্ন লক্ষ্যের কথা বলেছেন, “আমাদের দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য আছে। টেবিলে অবস্থান হলো স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য, পরের ম্যাচে আমরা কী করতে পারব। যতক্ষণ না আমরা ভাল অবস্থানে থাকি, ততক্ষণ আমরা টেবিল নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করি না। আমরা টেবিলে এগিয়ে যেতে জিততে চাই, আত্মবিশ্বাস চাই- এসবই স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য।”