খোদ পেলে তার নাম রেখেছেন ‘স্কার্ট পরা পেলে’। মেয়েদের ফুটবলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে যে কজনের অবদান আছে তাদের অন্যতম ব্রাজিলের মার্তার। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ঘোষণা দিয়েছিলেন এটাই তার শেষ অলিম্পিক। সতীর্থরা চাইছিলেন সোনা উপহার দিয়ে মার্তাকে বিদায় জানাতে।
সেই স্বপ্নটা অধরাই রইল। প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবল ফাইনালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে সোনা জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই দল সমান তালে খেললেও তাদের আলাদা করেছে ম্যালরি সোয়ানসনের গোল। তাতে ১২ বছর পর অলিম্পিকে সোনা জিতল যুক্তরাষ্ট্রের নারী ফুটবল দল। অলিম্পিকে এটা তাদের রেকর্ড পঞ্চম সোনা।
ব্রাজিল আর মার্তার জন্য অলিম্পিকটা আক্ষেপ হয়েই রইল। তিনবার তারা পেল রুপা। ২০০৪, ২০০৮-এর পর ২০২৪ সালের ফাইনালে তারা হারল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। প্রতিবারই দলে ছিলেন মার্তা। ফাইনাল শেষে সতীর্থরা সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন মার্তাকে। তবে ভেঙে না পরে মার্তাই উল্টো পিঠ চাপড়ে দেন তাদের।
‘স্কার্ট পরা পেলে’ মার্তা অনেকক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছেন পেলেকেও। ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করা প্রথম ফুটবলার তিনি। করেছেন পাঁচটি অলিম্পিকে গোলও। মেয়েদের ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন ছয়বার (এর পাঁচটি টানা)।
ব্রাজিলের হয়ে করেছেন ১১৯ গোল। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৭ গোলের রেকর্ডও তার। আক্ষেপ বলতে একটা অলিম্পিক সোনা জিততে না পারা। সেই হতাশা নিয়েই শেষ হতে চলেছে তার ক্যারিয়ার।