আবারও বিশ্বসেরা গোলকিপারের পুরস্কার জিতলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এবারের ব্যালন ডি’অরে ‘ইয়াসিন ট্রফি’ জিতেছেন এই আর্জেন্টাইন স্টপার। অন্যদিকে এবারের ব্যালন ডি’অরে প্রথমবার পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে সেরা কোচের পুরস্কার। ডাচ কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফের নামে দেওয়া পুরস্কারটির প্রথম সংস্করণ জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের কার্লো আনচেলত্তি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম নায়ক ছিলেন এই গোলকিপার। যেকারণে ২০২৩ সালের ব্যালন ডি’অরে সেরা গোলকিপারের পুরস্কার ‘ইয়াসিন ট্রফি’ তার হাতে ওঠা একরকম নিশ্চিতই ছিল। গতবার জিতেছিলেন এই আর্জেন্টাইন। তবে এবার তার হাতে সেরা গোলকিপারের পুরস্কার উঠবে কিনা, সংশয় ছিল।
তবে টানা দ্বিতীয়বার ইয়াসিন ট্রফি জিতেছেন এমিলিয়ানো। ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা ও জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে গত মৌসুমেও চমৎকার পারফরম্যান্স ছিল তার। সেটিরই পুরস্কার জিতলেন ৩২ বছর বয়সী গোলকিপার। গতবার অ্যাস্টন ভিলা প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল। যাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা নিশ্চিত হয় দলটির। এই সাফল্যে গোলবারের নিচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল এমিলিয়ানোর।
আর্জেন্টিনাতেও তার অবদান অনেক। গোলবারের নিচে তিনি আরেকবার জ্বলে ওঠায় এ বছর টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পুরস্কার জেতার পর এমিলিয়ানো বলেছেন, “একবার (সেরা গোলকিপার) জেতা সম্মানের। তবে পরপর দুইবার জিতব, এটা কখনও প্রত্যাশা করিনি। এটা সম্ভব হয়েছে আমার সতীর্থদের কারণে। ধন্যবাদ জানাই আমার ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা ও জাতীয় দল আর্জেন্টিনাকে।”
এদিকে ২০২৪ সালের ব্যালন ডি’অরে নতুন পুরস্কার সংযোজন করা হয়েছে। এবার থেকেই চালু করা হয়েছে সেরা কোচের পুরস্কার। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইয়োহান ক্রুইফ অ্যাওয়ার্ড’। পুরস্কারটির প্রথম সংস্করণ জিতেছেন আনচেলত্তি। গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন এই পুরস্কার জেতার মাধ্যমে।
যদিও পুরস্কার মঞ্চে তিনি ছিলেন না। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ আগেই ব্যালন ডি’অর বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল। ব্যালন ডি’অরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মাদ্রিদের ক্লাবটি জানিয়েছিল, তারা প্যারিসের অনুষ্ঠানে যাবে না। মূলত ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবার ব্যালন ডি’অর না জেতার কারণেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।