Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
আগে কাউন্সিলর পরে পরিচালক এরপর…

এখনই বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই মাশরাফির

নাজমুলের চেয়ারে বসতে মাশরাফিকে পাড়ি দিতে হবে কয়েকটা ধাপ।
নাজমুলের চেয়ারে বসতে মাশরাফিকে পাড়ি দিতে হবে কয়েকটা ধাপ।
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে নাজমুল হাসান পাপরের উত্তরসূরী হচ্ছেন কি? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোড় আলোচনা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে। বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে তাকেই দেখতে চান অনেকে।

গতকাল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে নাজমুল হাসান শপথ নেওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন,‘‘ আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কি না। আইসিসির আবার এ নিয়ে বেশকিছু নিয়মকানুন আছে। ওদের বেশকিছু কমিটিতে আছি। ওরা আবার এটা পরিবর্তন করে না। সামনের বছর তো এমনিতেই করতাম (ছেড়ে দেওয়া)। চেষ্টা করব, এ বছর শেষ করা যায় কি না’’

নাজমুল ছাড়লে কী হবে

সরকারের হস্তক্ষেপে বিসিবিতে পরিবর্তন হলে আইসিসির কড়া শাস্তির শঙ্কা থাকবে। তবে নিজে থেকে নাজমুল সরে গেলে অন্য ব্যাপার। তখন আবারও নির্বাচন হবে বিসিবিতে। পরিচালকরা বেছে নিবেন নতুন সভাপতি।

মাশরাফির আপাতত সুযোগ নেই কেন

আইসিসির গাইড লাইন অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে বিসিবির গঠনতন্ত্র। বিসিবির সভাপতি হতে হলে অবশ্যই নির্বাচিত হতে হবে তাকে। এজন্য প্রথমে কাউন্সিলর হতে হবে। এরপর হতে হবে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক।

মাশরাফি এখনও ক্রিকেট খেলছেন। সভাপতির চেয়ারে বসতে হলে প্রথমে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে আসতে হবে। দ্বিতীয় ধাপ পরিচালক নির্বাচিত হওয়া। তারপর সভাপতি পদে নির্বাচনের যোগ্যতা অর্জন করবেন তিনি।

কাউন্সিলর হওয়া ও পরিচালক নির্বাচিত হওয়াটা এখনই সম্ভব নয় মাশরাফির। এজন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে । তাই হঠাৎ করে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই মাশরাফারি। একই কথা প্রযোজ্য সাকিব আল হাসানের জন্যও।

আছে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ

১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিতাই রায় চন্দ্র ও রুহুল আমিন হাওলাদার। ১৯৯১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, সবাই ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। ২০১৪ সালে একবারই ক্রীড়া উপমন্ত্রী হয়েছিলেন সাবেক ফুটবল অধিনায়ক আরিফ খান জয়।

৩৪ বছর পর নাজমুল হাসান পাপন পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়েরে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিত্ব। তবে নতুন কারও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ শেষ হয়নি এখনও। তাতে চাপ কমবে নাজমুল হাসানের। সেই পদের জন্য সরকার চাইলে যে কাউকে মনোনয়ন দিতে পারে। সেটা হতে পারেন মাশরাফি, সাকিব আল হাসান কিংবা অন্য যে কেউ।

মাশরাফি এখন বিসিবি সভাপতি হতে কাউন্সিলর হবেন নাকি সরকারের নতুন মেয়াদে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকবেন-সিদ্ধান্ত একান্তই তার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত