Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ নিয়ে কী হয়েছে

ড. এম মাসরুর রিয়াজ।
ড. এম মাসরুর রিয়াজ।
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

রাষ্ট্র ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে এম মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

তিনি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আছেন, না নেই, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলছেন না।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে বিএসএইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় মাসরুরকে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মঙ্গলবার তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে। চার বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।

এরপর ফেইসবুকে অনেকেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা, পুঁজিবাজারের আলোচিত নাম সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মাসরুরের সুসম্পর্ক থাকা নিয়ে কথা বলছিলেন। দুজনের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসাবে তাদের ছবিও দেন কেউ কেউ।

এরপর বুধবার সকালে ওয়েবসাইট থেকে সেই প্রজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়। মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বা অন্য কাউকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না—সে বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে নতুন কোনও প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “তার (মাসরুর রিয়াজ) বিষয়ে কিছু প্রশ্ন আছে। সে বিষয়টি আমি দেখব। দেখে দুই-এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আজ (বুধবার) সচিব মহোদয়ের দপ্তরের নির্দেশে ওয়েবসাইট থেকে সেই প্রজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

মাসরুর পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এক সময় আইএমএফে কাজ করতেন।

তার আগে বিএসইসির চেয়ারম্যান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম। নানা ঘটনায় বিতর্কিত শিবলী রুবাইয়াত সরকার পতনের পর গত ১০ আগস্ট পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত