পিএসজির সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছিল ৯৯ শতাংশ। রিলিজ ক্লজে রিভার প্লেট থেকে ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর আসতে বাকি ছিল শুধু একটা স্বাক্ষর। সেই স্বাক্ষরটা পিএসজি নয়, ১৭ বছরের আর্জেন্টাইন ‘মাস্তান’ করলেন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য।
রেকর্ড দামে এই বিস্ময়বালককে কিনেছে রিয়াল। আজ (শুক্রবার) রিয়াল ও রিভারপ্লেট দুই ক্লাবই নিশ্চিত করেছে এই খবর। রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো সর্বশেষ আর্জেন্টাইন ছিলেন আনহেল দি মারিয়া। ২০১০ সালে তিনি যোগ দেওয়ার পর ক্লাব ছাড়েন ২০১৪-তে। এর ১১ বছর পর প্রথম কোনো আর্জেন্টাইনকে কিনল রিয়াল, তাও রেকর্ড দামে।
মাস্তানতুয়ানোর রিলিজ ক্লজ ছিল ৪৫ মিলিয়ন ইউরো। এর সঙ্গে কর, ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন, এএফএ ফান্ড এবং অন্যান্য ফি হিসেবে তাকে কিনতে রিয়ালের মোট খরচ ৬৩.২ মিলিয়ন ইউরো। এত বেশি টাকায় কোনো আর্জেন্টাইন ক্লাব থেকে ফুটবলার কেনেনি কেউ। এর আগে রিভার প্লেট থেকেই এনসো ফের্নান্দেসকে বেনফিকা কিনেছিল ৪৪.২ মিলিয়ন ইউরোয়।
পিএসজির কর্ণধার আল খেলাইফি প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন মাস্তানতুয়ানোকে। কিন্তু রিয়ালের একটা চোখ সবসময় ছিল তার ওপর। এর আগে মাস্তানতুয়ানোর রিলিজ ক্লজ ছিল ১৫ মিলিয়ন ইউরো। সেটা রিভার প্লেট বাড়িয়ে ৪৫ মিলিয়ন করায় সরে আসে রিয়াল। কিন্তু পিএসজি এগিয়ে যাওয়ায় রিয়ালের কাছে পথ ছিল একটাই ‘‘হয় কিনে নাও নইলে আজীবনের জন্য হারাও।’’
রিয়াল তাকে হারাতে চায়নি বলেই চুক্তি করেছে ৬ বছরের জন্য। প্রতি বছর তার নেট বেতন হবে প্রায় ৩৫ লাখ ইউরো। আর রিয়াল মাদ্রিদ তার রিলিজ ক্লজ রেখেছে ১০০ কোটি ইউরো! আগামী আগস্টে ১৮ বছর বয়স হলে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবেন তিনি। এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপে রিভার প্লেটের জার্সিতেই খেলবেন মাস্তানতুয়ানো।
গত ৬ জুন চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৭ বছর ৯ মাস ২২ দিন বয়সে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেক হয়েছিল মাস্তানতুয়ানোর। দেশটির হয়ে অফিশিয়াল ম্যাচ খেলা সর্ব কনিষ্ঠ খেলোয়াড় তিনিই। কারও কাছে তিনি ‘নতুন মেসি’, কারও কাছে কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ!
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে স্বাচ্ছন্দ্য এই ফুটবলার মাঝমাঠ থেকে খেলা গড়ে তোলেন। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ, ছোট জায়গায় ঘুরে যাওয়া আর দূরপাল্লার শটে অনন্য তিনি। এমন প্রতিভাবান একজনকেই দরকার রিয়ালের মাঝমাঠে।