“আমরা ডিফেন্ডার। আমাদের নিয়ে কেউই লেখে না। আমরা সব সময় পেছনেই পড়ে থাকি।” ভুটানকে সেমিফাইনালে উড়িয়ে দেওয়ার পর টিম বাসে উঠে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন অনেকটা অভিমানের সুরে কথাগুলো বললেন।
মাত্রই ম্যাচ শেষ হয়েছে। ভুটানকে হারিয়ে প্রত্যেক ফুটবলারের চেহারায় খুশির আভা। জাতীয় দলের মেয়েদের দেখতে টিম বাসের পাশে ভীড় করেছে নেপালে আসা অনেক বাংলাদেশি।
নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যদের উপেক্ষা করেও বারবার ফুটবলারদের কাছে ঘেষার চেষ্টা এসব সমর্থকদের। অনেকে সেলফি নিতেও চেষ্টা করেছে। বাসের জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে কোনও কোনও ফুটবলার আবদার মিটিয়েছেন ভক্তের।
এমন হাসি খুশি আবহের মধ্যেই অভিমানী কন্ঠে মাসুরা বললেন, “আপনারা সব সময় নেগেটিভ নিউজ করেন। বাংলাদেশ মানেই যেন নেগেটিভ নিউজ হয়ে গেছে। এখন সবাই পজিটিভ নিউজ করবেন। আর আমরা এভাবেই খেলব। ফাইনালেও জিতব ইনশাল্লাহ।”
বাসে ওঠার অপেক্ষায় মাঠের বাইরের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। তিনি যেন আগেই জানতেন ভুটানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতবে বাংলাদেশ, “আমি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম যে ৬ গোলে জিতব। সেটাই হয়েছে। আমাদের এই জয়ে বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল মেয়েদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। উনি ফোন দিয়েছিলেন মেয়েদের। আসলেই এই মেয়েরা ভয়ডরহীন ফুটবল উপহার দিয়েছে জাতিকে। আমরা খুব খুশি।”
মারিয়া মান্দা ম্যাচের আগের দিন বলেছিলেন, আমরা আগের ফলগুলো ভুলে যেতে চাই। টিম বাসে উঠতে উঠতে সেই কথাগুলোই বললেন এই মিডফিল্ডার, “ভুটানকে এভাবে উড়িয়ে দিতে পেরে খুব ভালো লাগেছে। কখনও ভয় লাগেনি ভুটানকে। যদিও বলেছিলাম যে ওদের সমীহ করব। কিন্তু নিজেদের খেলাটা মাঠে গিয়ে খেলেছি। জানতাম ভুটানকে বড় ব্যবধানে হারাব । সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।”
ভুটানের বিপক্ষে গত জুলাইয়ে অভিষেকে নেমে হ্যাটট্রিক করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। সাফের সেমিফাইনালে তাকে একাদশে রেখেছিলেন কোচ পিটার বাটলার। সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি ঠাকুরগাঁয়ের রাঙাটুঙ্গীর ফুটবলার। কিন্তু তাতেও মন খারাপ হয়নি তার, “আমি প্রথমবার একাদশে নেমেছি। চেয়েছিলাম গোল করব। কিন্তু অল্পের জন্য গোল পাইনি। তবে দল জিতেছে এতেই খুশি।”