মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশি দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, “এই সমুদ্র বন্দর জলপথের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট এলডি হলে জাপানের সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইউনিট আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন স্পিকার। ‘বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর: মাতারবাড়ী দ্বারা বঙ্গোপসাগরে নতুন দৃশ্যের সূচনা’ শীর্ষক এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর এমন একটি গেটওয়ে যা বাংলাদেশের মাধ্যমে নেপাল, ভুটানের মতো ল্যান্ডলক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকে সহজ করবে। এই সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের কাছে বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব তুলে ধরবে।
মহাসাগর ব্যবহারের পাশাপাশি এর টেকসই উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হতেও ব্যবহারকারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নীতিগত সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ ইন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক কামরান রেজা চৌধুরী এবং ওশান পলিসি পিস ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ফেলো ইমাদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম, সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট হাইডে সাকাগুচি, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা এবং জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ তমোহিডে ইচিগুছি।